সভাপতির বক্তব্যে গণতন্ত্র মঞ্চের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘‘এই দেশে কেবল মাত্র একটা শাসন নয়, এই রাষ্ট্রটাই জনগনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে যে তাকে দমন করে শাসন করে এই রাষ্ট্র লুট করবে, এই রাষ্ট্র তাদের দাপট দেখাবে… এটাই তাদের(সরকার) কাজ। এটাকেই তারা চিরস্থায়ী করতে চায়। তার বিরুদ্ধে আজকে বাংলাদেশের বিরোধীদলগুলো একটা ঐক্য গড়ে তুলেছেন যে, এভাবে রাষ্ট্রটা চলতে পারে না, এরকম শাসন চলতে পারে না।”
‘‘ এই ফ্যাসিস্ট সরকার কোনো কথাই শুনছে না। আমাদেরকে আন্দোলনের জায়গায় যেতে হবে। মানুষ আশা করে বিরোধী দলগুলো আবার বড় আকারের সংগ্রাম গড়ে তুলে এই সরকারকে বিদায় করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবে। সেই লড়াই গড়ে তুলবেন এই আশাবাদ আমি রাখছি।”
তিনি বলেন, ‘‘ আগামীর বাংলাদেশ এই শাসন উৎখাত করে একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ হবে এবং সেই গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের রুপরেখা ৩১ দফা। আমরা কেবল মাত্র আশা দিয়ে, একটা শ্লোগান দিয়ে এটা শেষ করিনি। কিভাবে বাংলাদেশ হবে সেটাও পরিস্কার করে বলা হয়েছে।”
‘‘ আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক দল হিসেবে ফ্যাসিস্ট গণবিরোধী একটা জায়গায় পরিপূর্ণভাবে নিমজ্জিত হয়েছে সেটা খুব পরিস্কার। বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা নির্মাণের ক্ষেত্রে তাদের কোনো প্রস্তাব নেই। তাদের প্রস্তাব হচ্ছে, এই জমিদারি, এই ফ্যাসিস্ট বন্দোবস্ত… এটাই চলতে থাকবে, এটাই চিরস্থায়ী হবে। কাজেই বাংলাদেশের মানুষের কাছে নতুন করে এই ডাক আমাদেরকে নিয়ে যেতে হবে, এই ডাক জাগ্রত করতে হবে। সমাজের নানান অংশ আজকে জেগে উঠছে। বিশেষ করে ছাত্র সমাজ যেভাবে জেগে উঠছে, শিক্ষকরাও পর্যন্ত আন্দোলন করছে। সরকারেরে নিজের পক্ষের লোকদেরও আর রাখতে পারছে না।এই ফ্যাসিস্ট শাসন সমাজের সমস্ত অংশে তাদের সমস্ত অধিকার ও তাদের মর্যাদা কেড়ে নিচ্ছে। এই লড়াইগুলো আরও জোরদার হবে।”
অসুস্থ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিও জানান গণতন্ত্রের মঞ্চের সমন্বয়কারী।
এই আলোচনা সভায় গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক সুব্রত চৌধুরী, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলম বাবলু, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী হাসনাত কাইয়ুম, জেএসডির সহসভাপতি তানিয়া রব, গণঅধিকার পরিষদের একাংশের সভাপতি মিয়া মসিউজ্জামান, অপর অংশের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান এবং এবি পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বক্তব্য রাখেন।