ঢাকাবুধবার , ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. কৃষি ও অন্যান্য
  5. খেলাধুলা
  6. গল্প ও কবিতা
  7. জাতীয়
  8. তথ্যপ্রযুক্তি
  9. দেশজুড়ে
  10. ধর্ম ও জীবন
  11. প্রবাস
  12. বানিজ্য
  13. বিনোদন
  14. বিশেষ প্রতিবেদন
  15. মুক্তমত
আজকের সর্বশেষ সবখবর

সকল সম্প্রদায়ের মানুষের নির্বিঘ্নে ধর্মীয় উৎসব পালন করা গণতন্ত্রের সৌন্দর্য্য

খুলনা ব্যুরো
সেপ্টেম্বর ৪, ২০২৪ ৯:২৯ অপরাহ্ণ
Link Copied!

খুলনা জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক আমীর এজাজ খান বলেছেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীরউত্তম এঁর ঘোষণায় মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ পেয়েছিলাম। আর গত ৫ আগষ্ট ছাত্র-জনতার বুকের তাজা রক্তের বিনিময়ে গণঅভ্যূত্থানে গণহত্যাকারী শেখ হাসিনার পতনের মাধ্যমে দ্বিতীয়বার বাংলাদেশ আওয়ামী ফ্যাসিষ্টমুক্ত রাষ্ট্র পেয়েছি। এদেশ মুসলিম-হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রীষ্টান সকলের। বাংলাদেশে কেউ সংখ্যালঘু নই, আমরা সকলেই বাংলাদেশী। সকল সম্প্রদায়ের মিলিত শক্তি দেশ গড়ার হাতিয়ার। আর সকল সম্প্রদায়ের মানুষের নির্ভয়ে নির্বিঘ্নে ধর্মীয় সকল আচার অনুষ্ঠান যথাযথা উৎসব উদ্দীপনার সাথে পালন করতে পারাটাই গণতন্ত্রের সৌন্দর্য্য। আসন্ন শারদীয় দূর্গোৎসব হবে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের বিজয়োৎসবের একটি বহিঃপ্রকাশ। বিএনপির সর্বস্তরের নেতাকর্মী সমার্থক হিন্দু ভাইদের উপাসনালয় ও পূজামন্ডপ পাহারায় অতন্দ্র প্রহরীর ন্যায় দায়িত্ব পালন করবেন। যাতে পতিত আওয়ামী প্রেতাত্মারা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে অপচেষ্টা চালাতে না পারে। গত সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় নগরীর কে.ডি ঘোষ রোডস্থ দলীয় কার্যালয়ে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ খুলনা জেলা শাখার নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময়কালে সভাপতির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। জেলা বিএনপির সদস্য সচিব এসএম মনিরুল হাসান বাপ্পী মতবিনিময় সভাটি সঞ্চালনা করেন। মতবিনিময়কালে পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দ আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুস সালাম মূর্শেদী ও তার পোষ্য সন্ত্রাসী কর্তৃক রূপসা-তেরখাদা-দিঘলিয়ায় নির্যাতন, হামলা-ভাঙচুর ও জবরদখলের চিত্র তুলে ধরেন। এছাড়া সরকার পতনের পর পাইকগাছায় হিন্দু ব্যবসায়ীর বাড়ীতে লুটপাট করায় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান এসএম এনামুল হককে বিএনপি থেকে বহিষ্কার করায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দ।
মতবিনিময়কালে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ খুলনা জেলা শাখার সভাপতি কৃষ্ণপদ দাশ, সহ-সভাপতি রবীন্দ্রনাথ দত্ত, অজিত কুমার বিশ্বাস ও গৌর চন্দ্র ঢালী, সাধারণ সম্পাদক বিমান সাহা, জেলা বিএনপি’র যুগ্ম-আহ্বায়ক কেএম আশরাফুল আলম নান্নু, জেলা শ্রমিকদলের সভাপতি উজ্জল কুমার সাহা, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীষ্টান কল্যাণ ফ্রন্ট খুলনা জেলার আহ্বায়ক ডাঃ প্রদীপ দেবনাথ, বিকাশ মিত্র, দীপক কুমার, ব্রজেন ঢালী, সরজিত ঘোষ দেবেন, প্রসেনজিত রায়, বৃস্বর মন্ডল, তপন ঘোষ, জয় বিশ্বাস, পূজা উদযাপন পরিষদ জেলা শাখার কোষাধ্যক্ষ বিভূতি ভূষণ সাহা, দপ্তর সম্পাদক সুমন দাস, পূজা বিষয়ক সম্পাদক প্রশান্ত কুমার মন্ডল, সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য বিশ্বজিৎ পাল, অতনু কর বাপ্পা, প্রদীপ কুমার হীরা, দিপঙ্কর সাহা বাবু, সদস্য এ্যাড. পঙ্কজ কুমার সাহা, ব্রজেন কুমার মন্ডল, মাধুরী মন্ডল, গোবিন্দ কুমার কুন্ডু, লিটন কুমার বিশ্বাস, মিঠুন কুমার দে, উপদেষ্টা গনেশ কুমার রায়, শঙ্কর সাহা, দিঘলিয়া উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ বিশ্বাস, তেরখাদার সাধারণ সম্পাদক শংকর বালা, রূপসার সভাপতি শক্তিপদ বসু, সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণ গোপাল সেন, দিঘলিয়ার সভাপতি সৌমিত্র দত্ত ও উপদেষ্টা তারক দাস প্রমুখ। শারদীয় দূর্গোৎসবে জেলার প্রতিটি উপজেলা-পৌরসভার ওয়ার্ড পর্যায় পর্যন্ত মন্দিরে-মন্দিরে ও পূজামন্ডপে নিজস্ব শৃঙ্খলা রক্ষাকারীদের সাথে সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সর্বাত্মক সহযোগিতা করতে প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন বিএনপি নেতৃবৃন্দ।