সাবেক রেজিস্টার মো. ফজলার রহমানের বিরুদ্ধে পৌনে ২ কোটির টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের প্রমাণ পাওয়ায় আদালতে চার্জশিট জমা দিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ফরিদপুরের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সরদার আবুল বাশার। চার্জশিটটি গত মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) জেলা ও দায়রা জজ কোর্টের সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে দাখিল করা হয়। এর আগে ৭ জুলাই রোববার ফজলার রহমানের নামে মামলা করেন সংস্থাটির প্রাক্তন সহকারী পরিচালক কমলেশ মন্ডল। অনিয়মের মাধ্যমে ছেলে ফয়সাল রহমানের নামে গড়েছেন কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ। সহকারী পরিচালক সরদার আবুল বাশার জানান, দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪ এর ২৭(১) ধারাসহ মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় আসামির নামে অভিযোগটি প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে। আসামি ও তার পোষ্যগণের নামে মোট ২ কোটি ৮৩ লাখ ৫৬ হাজার ৩৮৯ টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ পাওয়া যায়। তার মধ্যে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত ১ কোটি ৭৫ লাখ ৯৫ হাজার ৯৪৫ টাকার সম্পদ পাওয়া যায় যা শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
আয়কর নথিতে দেখা যায়, আসামি মো. ফজলার রহমানের মোট আয় পাওয়া যায় ১ কোটি ৪১ লাখ ৭২ হাজার ২৬৪ টাকা। তার পারিবারিক ব্যয় পাওয়া যায় ৩৪ লাখ ১১ হাজার ৮২০ টাকা। পারিবারিক ব্যয় বাদে তার নিট আয় ১ কোটি ৭ লাখ ৬০ হাজার ৪৪৪ টাকা। এক্ষেত্রে আসামি মো. ফজলার রহমানের নিজ নামে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত ১ কোটি ৭৫ লাখ ৯৫ হাজার ৯৪৫ টাকার সম্পদ অর্জন ও তা ভোগদখলে আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদ অর্জন, দখল ও স্থানান্তর করে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন, তা প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়। যা দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারায় অপরাধ করেছেন।
আসামি মো. ফজলার রহমান বাগেরহাট জেলা রেজিস্ট্রার থাকাকালীন ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে অবসর গ্রহণ করেন এবং তার বাড়ি ফরিদপুর জেলায়।