ঢাকারবিবার , ২৮ জুলাই ২০২৪
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. কৃষি ও অন্যান্য
  5. খেলাধুলা
  6. গল্প ও কবিতা
  7. জাতীয়
  8. তথ্যপ্রযুক্তি
  9. দেশজুড়ে
  10. ধর্ম ও জীবন
  11. প্রবাস
  12. বানিজ্য
  13. বিনোদন
  14. বিশেষ প্রতিবেদন
  15. মুক্তমত
আজকের সর্বশেষ সবখবর

৪ বছরেও দৃশ্যমান হয়নি খুলনায় ডেন্টাল কলেজ হাসপাতাল

খুলনা ব্যুরো
জুলাই ২৮, ২০২৪ ৩:০৭ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

দক্ষিণাঞ্চলের একুশ জেলার মানুষের দীর্ঘদিনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে খুলনায় ডেন্টাল কলেজ ও হাসপাতাল নির্মাণে নেয়া হয় উদ্যোগ। তবে তা শুধু ফাইল চালাচালিতেই কেটে যায় ৪ বছর। যা নিয়ে ক্ষুদ্ধ খুলনার নাগরিক নেতারা। এদিকে কলেজে মোট ১২০টি আসন এবং হাসপাতালে ৫০০ শয্যা চালু করার জন্য তারা প্রস্তাবনা তৈরি করেছেন। একাডেমিক ভবনে মোট ২৮টি বিভাগ থাকবে। প্রশাসনিক ভবন হবে ৮ তলা। প্রাকটিক্যাল কক্ষ, বিভিন্ন ধরনের ল্যাব, বিভিন্ন ডায়াগনস্টিক বিভাগ ও ৪০০ আসনের একটি লাইব্রেরি নির্মাণ করা হবে। থাকবে অডিটোরিয়াম, লেকচার গ্যালারি, শ্রেণিকক্ষ, টিউটোরিয়াল কক্ষ, ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য পৃথক কমন রুম, ক্যাফেটেরয়া প্রভৃতি। কলেজে মর্গ ও মরচুয়ারি এবং ডিএনএ টেস্টের আধুনিক ল্যাব থাকবে। হাসপাতালে ৫০০ শয্যার পাশাপাশি অপারেশন থিয়েটার, জরুরি বিভাগ, আউটটোর, ফার্মেসি প্রভৃতি থাকবে। নির্মাণ করা হবে হাসপাতাল ভবন, প্রশাসনিক ভবন। বৈদ্যুতিক সাব স্টেশন, হেলিপ্যাড, মসজিদ, পুকুর, মাঠ ও জিমনেসিয়াম তৈরি করা হবে। জানা যায়, ২০১৯ সালের ৮ ডিসেম্বর খুলনার বিভাগীয় কমিশনার ড. মুঃ আনোয়ার হোসেন হাওলাদার খুলনা ডেন্টাল কলেজের প্রকল্প প্রস্তাব উত্থাপন করেন। একই সালের ৩১ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী অনুমোদন দেন। ২০২০ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি মন্ত্রনালয় থেকে মহাপরিচালক বরাবর কলেজের শিক্ষা কার্যক্রম চালু করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য অনুরোধ করা হয়। এছাড়া খুলনা ডেন্টাল কলেজের জন্য স্থায়ী ক্যাম্পাস সংস্থাপনের নিমিত্তে স্থান নির্বাচন, কলেজের অধ্যক্ষ ও জনবল নিয়োগ ও আর্থিক সংশিষ্ট বিষয়াদি ও বাজেট বরাদ্দের প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহনের অনুরোধ করা হয়। একই সালের ১২ মার্চ ডাঃ অসীম কুমার সাহা কে খুলনা ডেন্টাল কলেজের অধ্যক্ষ নিয়োগ করা হয়। ২০২১ সালের ৪ জানুয়ারি খুলনা ডেন্টাল কলেজ ও হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার সরকারী মঞ্জুরী প্রদান করা হয়। পহেলা এপ্রিল খুলনা ডেন্টাল কলেজ ও হাসপাতাল প্রকল্প বাংলাদেশ গেজেটে প্রকাশিত হয়। ২৯ নভেম্বর ডাঃ মোশারফ হোসেন খন্দকারকে খুলনা ডেন্টাল কলেজ ও হাসপাতালের সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রকল্পের পরিচালক নিয়োগ করা হয়। এরপরে ২০২২ সালের খুলনা ডেন্টাল কলেজ ও হাসপাতাল স্থাপনের জন্য জমির তফসিলের প্রশাসনিক অনুমোদন দেওয়া হয়। একই সালের ২৬ ডিসেম্বর খুলনা জেলা প্রশাসক থেকে মন্ত্রনালয়ে খুলনা ডেন্টাল কলেজ ও হাসপাতাল নির্মান শীর্ষক প্রকল্পের প্রস্তাবিত জমি অধিগ্রহনের লক্ষ্যে আনা দাগ সূচি ও স্কেচম্যাপ ও সম্ভাব্য প্রাক্কলন করা হয়। ৩১ ডিসেম্বর ডাঃ অনুপম পোদ্দারকে খুলনা ডেন্টাল কলেজের অধ্যক্ষ নিয়োগ করা হয় এবং খুলনা ডেন্টাল কলেজ ও হাসপাতালের সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রেরন করা হয়। ২০২৩ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি খুলনা ডেন্টাল কলেজ ও হাসপাতাল শীর্ষক প্রকল্পের যাচাই বাছাই কমিটির সভা আহবান করা হয়। ৩ মার্চ খুলনা ডেন্টাল কলেজ ও হাসপাতাল শীর্ষক প্রকল্পের যাচাই বাছাই কমিটির মিটিং অনুষ্ঠিত হয়। চলতি বছরের ১৪ জানুয়ারি মন্ত্রনালয় থেকে মহাপরিচালক (ডিজিএমই) বরাবর খুলনা ডেন্টাল কলেজ ও হাসপাতাল শীর্ষক প্রকল্পের ডিপিপি পর্যবেক্ষন প্রতিপালন পূর্বক সংশোধিত ডিপিপি প্রেরন করা হয় । মহা পরিচালক (ডিজিএমই) থেকে গত মাসের ২৩ জুন পরিকল্পনা মন্ত্রনালয়ের বাস্তবায়ন শাখায় প্রেরণ করা হয়। এরপরেই অধ্যক্ষ ডাঃ অনুপম পোদ্দারের নেতৃত্বে খুলনা ডেন্টাল কলেজের প্রতিনিধি দল সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য সেখ সালাহউদ্দিন জুয়েলের সাথে। এসময় প্রতিনিধি দলকে খুলনা ডেন্টাল কলেজ দ্রুত বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দেন।
নাগরিক নেতা এড বাবুল হালাদার বলেন, একটা ডেস্টাল কলেজ হলে, তা মুদু এ অঞ্চলের মানুষই শিক্ষা গ্রহন করবে এমন নয়। এখান থেকে সারা বাংলাদেশের মানুষই শিক্ষা গ্রহণ করবেন। খুলনায় ডেন্টাল কলেজ এটা সময়ের দাবি। তিনি আরও বলেন, একটা প্রকল্প গ্রহণের পরে যদি ৪ থেকে ৫ বছর সময় নেয়া হয়, তাহলে এটা কবে তাহলে একনেকে অনুমোদন হবে? আর কবে তা আলোর মুখ দেখবে? সুতরং এটি আমলাতান্ত্রিক জটিলতা রোধ কওে আলোর মুখ দেখানো হোক, দেশ ও দেশের মানুষের স্বার্থে। কলেজের অধ্যক্ষ ডাঃ অনুপম পোদ্দার বলেন, খুলনাঞ্চলের মানুষ দাতের সমস্যায় কষ্ট পায়। তাদের সুচিকিৎসার জন্য খুলনার বাইরে যেতে হয়। তাই তাদের প্রাণের দাবি খুলনায় ডেন্টাল কলেজ ও হাসপাতাল। আশা করি দ্রুত সময়ে এ কলেজে দৃশ্যমান কাজ শুরু হবে।
বিএমএ খুলনার সভাপতি ডাঃ শেখ বাহারুল আলম বলেন, খুলনা ডেন্টাল কলেজ, এ অঞ্চলের জন্য একটি অতি গুরুত্বপূর্ন প্রতিষ্ঠান। এটি স্থাপনার ব্যাপারে যে দীর্ঘসুত্রিতা তৈরি হয়েছে, তার অন্যতম কারণ আমলাতান্ত্রিক জটিলতা। তিনি স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষন করে বলেন, প্রতিষ্ঠানটি এ অঞ্চলের মানুষের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশার বিষয়। এটি যেন অচিরেই আলোর মুখ দেখে। আশা করি মন্ত্রী এ বিষয়ে তৎপর হবেন।
সংরক্ষিত সংসদ সদস্য অধ্যাপক রুনু ইকবাল বিথার বলেন, খুলনা ডেন্টাল কলেজের অধ্যাক্ষ নিয়োগ দেয়া হয়েছে। কাজ চলমান রয়েছে। যদি কোন কারেেন দীর্ঘসুত্রিতা তৈরি হয়। সেক্ষেত্রে আমি আমার পক্ষ থেকে সর্বোচ্ছ চেষ্টা করবো। আশা করি কাজটি খুব দ্রুত সময়ে আলোর মুখ দেখবে।