উইম্বলডনের ফাইনালে কার্লোস আলকারাজের কাছে আবারো হারলেন নোভাক জোকোভিচ। নারী–পুরুষ মিলিয়ে গ্র্যান্ড স্লাম জয়ের রেকর্ডে মার্গারেট কোর্টকে ছাড়িয়ে রেকর্ডটা এককভাবে নিজের করে নিতে পারলেন না সার্বিয়ান তারকা। পারেননি নিতে গতবারের প্রতিশোধও।
এবারের ফাইনালটা আলকারাজ জিতলেন ৬-২, ৬-২, ৭-৬ (৭/৪) গেমে, মাত্র ২ ঘণ্টা ২৭ মিনিট খেলেই। আর তাতে চতুর্থ গ্র্যান্ড স্লামের দেখা পেয়ে গেলেন এই স্পেনিশ তরুণ।
অথচ গতবার কী মহাকাব্যিক এক ফাইনালই না হয়েছিল। ৪ ঘণ্টা ৪২ মিনিটের লড়াই শেষে ১-৬, ৭-৬ (৮/৬), ৬-১, ৩-৬, ৬-৪ গেমে জিতেছিলেন আলকারাজ। তাতেই এক বছরে জোকোভিচের সবকটি গ্র্যান্ড স্লাম জয়ের অভিযানে ছেদ পড়েছিল। ২০২৩ সালে উইম্বলডন ছাড়া অন্য তিনটি গ্র্যান্ড স্লামই জিতেছিলেন জোকোভিচ। সেই জোকোভিচ এ বছর দেখছেন মুদ্রার উল্টোপিঠ। তাতে অবশ্য তার হাঁটুর ইনজুরিও দায়ী।
বছরের প্রথম গ্র্যান্ড স্লাম অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের সেমিফাইনাল থেকে বাদ পড়া জোকোভিচ ফ্রেঞ্চ ওপেনের কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে নাম প্রত্যাহার করে নেন হাঁটুর চোটের কারণে। এরপর অস্ত্রোপচার করানোর মাস না যেতেই নেমে পড়েন উইম্বলডনের শিরোপা পুনরুদ্ধারে।
কিন্তু শেষ পর্যন্ত জোকোভিচের ৩৭ বছর বয়সী চোটে জর্জর শরীর কুলিয়ে উঠতে পারল না আলকারাজের ২১ বছর বয়সী সতেজতার কাছে।
প্রথম দুই সেটে সহজেই হার মানার পর জোকোভিচ ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন তৃতীয় সেটে। সেই গেমে ৫-৪ গেমে পিছিয়ে পড়ার পর জোকোভিচ উল্টো এগিয়ে গিয়েছিলেন ৬-৫ গেমে। কিন্তু পরের গেমটিতে জোকোভিচকে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতাই গড়তে দেননি আলকারাজ, আলকারাজ গেমটি জেতেন ৫০-০ পয়েন্টে। এরপর টাইব্রেকার, আর তাতে জিতে আবারও উইম্বলডনের রাজা আলকারাজ।