দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় মাদারীপুর সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ মাসুদ করিমকে অনত্র বদলি করা হয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোসাঃ রোখসানা হায়দারের স্বাক্ষরিত এক আদেশে মোঃ মাসুদ করিমকে ভোলার দৌলতখান উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার হিসেবে পদায়ন করা হয়। তবে আগামী ১৪ জুলাই-এর মধ্যে বর্তমান কর্মস্থল থেকে নতুন কর্মস্থলে যোগদান করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এদিকে দুর্নীতিতে অভিযুক্ত মাসুদ করিমের বদলি হওয়ায় খুশি ও আনন্দ উৎল্লাস করেছেন জেলা সদরের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মচারীরা। বেশ কিছুদিন আগে সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ মাসুদ করিমের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ এনে বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১১ প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষক প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরে প্রধান কার্যালয়ের সচিব বরাবর লিখিত দেন। এ ছাড়াও তার বদলির জন্য সরাসরি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে লিখিত অভিযোগ দেন মাদারীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য শাজাহান খান।
সাধারণ শিক্ষকদের অভিযোগে জানা গেছে, উপজেলা শিক্ষা অফিসার মাসুদ করিম অফিসে কাজের বিনিময়ে অন্যান্য শিক্ষকের কাছ থেকে ঘুষ গ্রহণ, ক্ষমতার অপব্যবহার, অফিস ফাঁকি দিয়ে নেশায় আসক্ত হন, ঘুষের টাকায় অফিসে এসি লাগানো, অবৈধভাবে বিলাসবহুল গাড়ি কিনে যাতায়াতসহ একাধিক অভিযোগ তোলা হয়। যা সরকারি নিয়ম পরিপন্থি কাজের সামিল। অভিযোগের বিষয়টি আমলে নিয়ে গত ২৯ ফেব্রয়ারি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। পরে গত ৬ মার্চ অভিযোগ দাখিলকারী ১১ জন শিক্ষকের সাক্ষ্য নেন তদন্ত কমিটির প্রধান ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের সহকারী পরিচালক মোঃ সাজ্জাদ হোসেন।
বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধু প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি মোঃ আবদুর রহমান বাচ্চু বলেন, মাসুদ করিম কর্তৃক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বহু শিক্ষক লাঞ্ছিত ও ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। তিনি একজন অসৎ ও দুর্নীতিবাজ অফিসার। তার বিরুদ্ধে এর আগেও একাধিকবার দুর্নীতির তদন্ত হয়েছে। অসৎ উপায় অবলম্বন করে তিনি সব কিছু ম্যানেজ করে চাকরি করে গেছেন। তার বদলির খবরে সাধারণ শিক্ষকদের মধ্যে আনন্দ উৎল্লাস ও মিষ্টি বিতরণও করা হয়েছে।
অভিযোগের বিষয় অস্বীকার করে সদ্য বদলিকৃত, অভিযুক্ত সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসার মাসুদ করিম বলেন, আমার বিরুদ্ধে করা একটি অভিযোগও সত্য নয়। শিক্ষকরা আমার অফিসে সিন্ডিকেট ও তদবির বানিজ্য করতে না পারায় এ ধরণের ভিত্তিহীন অভিযোগ দিচ্ছে। আর বদলির বিষয়টি চাকরির নিয়মিত প্রক্রিয়া।