ঢাকারবিবার , ১২ নভেম্বর ২০২৩
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. কৃষি ও অন্যান্য
  5. খেলাধুলা
  6. গল্প ও কবিতা
  7. জাতীয়
  8. তথ্যপ্রযুক্তি
  9. দেশজুড়ে
  10. ধর্ম ও জীবন
  11. প্রবাস
  12. বিনোদন
  13. বিশেষ প্রতিবেদন
  14. মুক্তমত
  15. যুব, নারী ও শিশু
আজকের সর্বশেষ সবখবর

গাজীপুরে পুলিশ-শ্রমিক সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ জামাল মারা গেছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক
নভেম্বর ১২, ২০২৩ ২:১৮ অপরাহ্ণ
Link Copied!

মজুরি বাড়ানোর দাবিতে করা বিক্ষোভে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ পোশাকশ্রমিক মো. জামাল উদ্দিন (৪০) মারা গেছেন। গাজীপুরের কোনাবাড়ীর জরুন এলাকায় সংঘর্ষ চলাকালে গুলিবিদ্ধ হন তিনি। শনিবার (১১ নভেম্বর) দিনগত রাত একটার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান জামাল উদ্দিন। গত ৮ নভেম্বর গাজীপুরের কোনাবাড়ীর জরুন এলাকায় পুলিশের শটগানের গুলিতে আহত হন ইসলামিয়া গার্মেন্টসের সুপারভাইজার জামাল উদ্দিন। নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার মো. চাঁন মিয়ার সন্তান জামাল উদ্দিন গাজীপুরের কোনাবাড়ী এলাকায় বসবাস করতেন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানায় অবগত করা হয়েছে।নিহতের সহকর্মী সফিকুল ইসলাম জানান, বুধবার গাজীপুরের কোনাবাড়ী জরুন এলাকায় ইসলাম গ্রুপের তিনটি কারখানার শ্রমিকরা বেতন বাড়ানোর দাবিতে বিক্ষোভ করেন। পরে পুলিশ তাদের নিয়ন্ত্রণে আনতে গেলে শ্রমিকরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ও রাবার বুলেট ছুড়ে। এতে শ্রমিকরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যান। ওই ঘটনায় অন্তত ১০ শ্রমিক আহত হন। আহতদের মধ্যে দুজনকে গুরতর অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থান প্রথমে আঞ্জুয়ারা খাতুন মারা যান। একই ঘটনায় আহত জামাল উদ্দিন ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
এদিকে, সরকার ঘোষিত সাড়ে ১২ হাজার টাকা ন্যূনতম মজুরি প্রত্যাখ্যান করে মজুরি বাড়ানোর দাবিতে আজও মিরপুরে সড়ক অবরোধ করেন পোশাকশ্রমিকরা। তবে এরই মধ্যে পোশাকশ্রমিকরা সড়ক থেকে সরে গেলেও ঘটনাস্থলে পুলিশ সদস্য মোতায়েন রয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছেন তারা। রোববার সকাল সোয়া ৮টা থেকে মিরপুর ১৩ নম্বরের প্রধান সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন কয়েকশ শ্রমিক। এতে মিরপুর ১৩, ১৪ ও ১০ নম্বরে যান চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। ফলে মূল সড়কসহ আশপাশের সড়কে সৃষ্টি হয়েছে যানজটের। পরে সকাল সোয়া ১০টার দিকে আন্দোলনরত শ্রমিকরা সড়ক থেকে সরে যান।

%d bloggers like this: