ঢাকাশনিবার , ১৪ অক্টোবর ২০২৩
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. কৃষি ও অন্যান্য
  5. খেলাধুলা
  6. গল্প ও কবিতা
  7. জাতীয়
  8. তথ্যপ্রযুক্তি
  9. দেশজুড়ে
  10. ধর্ম ও জীবন
  11. প্রবাস
  12. বিনোদন
  13. বিশেষ প্রতিবেদন
  14. মুক্তমত
  15. যুব, নারী ও শিশু
আজকের সর্বশেষ সবখবর

বিশ্বকাপ বাংলাদেশের জন্য কি পরীক্ষার মঞ্চ?

ডেস্ক রিপোর্ট
অক্টোবর ১৪, ২০২৩ ৭:০৫ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ওপেনিং নিয়েই সবচেয়ে বেশি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছে বাংলাদেশ। ভারতে যাওয়ার আগে গত ১২ মাসে অন্তত ৯ বার ওপেনিং পজিশনে বদল এসেছে। পুরো ফিট না থাকায় নিয়মিত ওপেনার তামিম ইকবালকে বাদ দিয়ে বিশ্বকাপ দল ঘোষণা করা হয়। সবমিলিয়ে সমস্যা নিয়েই বাংলাদেশ দল ভারতের বিমান ধরে। আশা করা হচ্ছিল অভিজ্ঞ লিটন দাসের সাথে তরুণ তানজিদ তামিম দায়িত্ব নিতে পারবেন। কিন্তু তিন ম্যাচের একটিতেও তারা প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেননি। সাবেক অনেক অধিনায়কের পাশাপাশি বিশ্বের সাবেক অনেক ক্রিকেটারও বাংলাদেশের এমন পরীক্ষা-নিরীক্ষায় হতবাক। ভারতের লেগস্পিনার অনিল কুম্বলে তো বলেই দিয়েছেন, বিশ্বকাপে এসে এমন পরীক্ষা-নিরীক্ষার ফল বাংলাদেশের জন্য ভালো কিছু হবে না। বিগত দুই ম্যাচে তেমনটাই দেখা গেছে। ক্রিকেটভিত্তিক পোর্টাল ক্রিকবাজের সঙ্গে আলাপে বাংলাদেশের অতিরিক্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষার সমালোচনা করেছেন কিংবদন্তি এ লেগস্পিনার, ‘বিশ্বকাপে আপনি যখন খেলেন, বেশির ভাগ ক্ষেত্রে আপনাকে স্থিতিশীল সমন্বয়ের মধ্যে থাকা উচিত। সেটা বিশ্বকাপের আগেই হয়ে যাওয়া উচিত। কিন্তু আপনি যদি বিশ্বকাপে এসে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু করেন, তবে সেটা অনেক মুশকিলের ব্যাপার।’ ‘দলটিতে পরীক্ষা-নিরীক্ষা অনেক বেশি হয়েছে। বিশ্বকাপে লড়াই করতে হলে স্থির হতে হবে। বিশেষ করে নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে আপনাকে স্থিতিশীলতা দেখাতে হবে। কারণ, নিউজিল্যান্ড অনেক পেশাদার দল। তাই পরীক্ষা-নিরীক্ষা থেকে দূরে থেকে স্থিতিশীল সমন্বয় প্রদর্শন করতে হবে।’কথাগুলো কুম্বলের, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচের আগে ক্রিকবাজকে সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন। ভারতের সাবেক এই ক্রিকেটার সতর্ক করেছিলেন নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে পরীক্ষা-নিরীক্ষায় না যেতে। কিন্তু টিম ম্যানেজমেন্ট তাদের মতোই পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছে। দ্রুত লিটন ফিরে যাওয়ার পর মেহেদী হাসান মিরাজকে পাঠানো হয় তিন নম্বরে। তাওহীদ হৃদয়ের স্বাভাবিক পজিশন ছাড়তে হয়েছে টিম ম্যানেজমেন্টের চাওয়াতে। টিম ম্যানেজমেন্ট লিটন-তানজীদের প্রতি আস্থা দেখিয়ে টানা তিন ম্যাচে ওপেনিংয়ে পরিবর্তন না আনলেও পরের পজিশনগুলোতে নিয়মিত পরিবর্তন আনা হয়েছে। মূলত তিন-চার-পাঁচ নম্বর পজিশনে সবশেষ তিন ম্যাচে দেখা গেছে দুই রকমের ব্যাটিং অর্ডার। আফগানিস্তান ম্যাচে তিনে খেলেন মিরাজ, চারে নাজমুল হোসেন শান্ত আর পাঁচে সাকিব আল হাসান। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে শান্ত আসেন তিনে, তারপর সাকিব-মিরাজ। আর সবশেষ নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দেখা গেছে আফগানিস্তান ম্যাচের মতো ব্যাটিং অর্ডার। এমন অদল-বদলের কারণ জানেন না সহঅধিনায়ক শান্ত। নিউজিল্যান্ড ম্যাচ শেষে এই ব্যাটার গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘এটা কোচ এবং অধিনায়ক বলতে পারবে। আমরা যারা ব্যাটিং করি সবাই জানি কে কখন ব্যাটিং করবে। কিন্তু এটার পেছনের কারণ অধিনায়ক এবং কোচ আরও পরিষ্কার করে বলতে পারবে।’ স্পষ্ট করে কিছু না বললেও শান্তর কথাতে পরিষ্কার নিজেদের ইচ্ছা না থাকলেও টিম ম্যানেজমেন্টের চাওয়াতে তাদের যে কোনও পজিশনের জন্য প্রস্তুত থাকতে হচ্ছে, ‘সত্যি বলতে একটু তো মানিয়ে নিতেই হয়। আমার মনে হয় এখানে সবার সেই ফ্লেক্সিবিলিটি থাকার দরকার যেকোনও সময় যেকোনও জায়গায় ব্যাটিং করা। এটা বলবো না যে হঠাৎ করেই হয়। সব ব্যাটাররাও জানে। এটা নিয়ে চিন্তা করার খুব বেশি প্রয়োজন মন হচ্ছে না। অধিনায়ক এবং কোচ যেভাবে সিদ্ধান্ত নেয় আমরা সেভাবে ব্যাটিং করার চেষ্টা করি।’ শুধু সাবেক-বর্তমান ক্রিকেটাররাই নয় বাংলাদেশের ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন সাকিব আল হাসানের গুরু মোহাম্মদ সালাউদ্দিন। এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেছেন, ‘ব্যাটিং অর্ডার ঠিক নেই, ব্যাটারদের মানসিকতায়ও হয়তো ঠিক নেই কে কীভাবে কোন ভূমিকায় খেলবে। একদিন কেউ খেলছে পাঁচে, একদিন তিনে, একদিন ওপেনার। আমার মনে হয় ব্যাটিং অর্ডারে ব্যাটারদের একটু সেটেল হতে দেওয়া উচিত।’ সালাউদ্দিন আরও যোগ করে বলেছেন, ‘যেহেতু আমরা বলি এটা মাইন্ড গেইম, আমাদের কিন্তু সেটা সেভাবে ঠিক করতে হবে আমাদের ব্যাটাররা সেটা কীভাবে মানিয়ে নিচ্ছে। মুখে মুখে সবাই বলতে পারে আমি অনেক আত্মবিশ্বাসী, যেখানে দেবেন সেখানেই খেলে ফেলবো। কিন্তু এটা আসলে এভাবে হয় না।’

%d bloggers like this: