ঢাকাশনিবার , ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. কৃষি ও অন্যান্য
  5. খেলাধুলা
  6. গল্প ও কবিতা
  7. জাতীয়
  8. তথ্যপ্রযুক্তি
  9. দেশজুড়ে
  10. ধর্ম ও জীবন
  11. প্রবাস
  12. বানিজ্য
  13. বিনোদন
  14. বিশেষ প্রতিবেদন
  15. মুক্তমত
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ভিয়েতনামে ইয়াগির আঘাতে নিহত ২৫০ ছাড়িয়েছে

আর্ন্তজাতিক ডেস্ক
সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২৪ ৪:৫১ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ভিয়েতনামে সুপার টাইফুন ইয়াগি এবং এর প্রভাবে ভারী বর্ষণের কারণে সৃষ্ট ভূমিধ্বস ও আকস্মিক বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৫৪ জনে দাঁড়িয়েছে। শুক্রবার দেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ এ তথ্য জানিয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় ইয়াগি সৃষ্ট দুর্যোগে নিহতের পাশাপাশি এখন পর্যন্ত ৮২০ জনের বেশি আহত হয়েছেন আর আরও অন্তত ৮২ জন নিখোঁজ রয়েছেন বলে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা জানিয়েছে। বন্যার পানি নেমে যাওয়া শুরু করায় উদ্ধারকাজ জোরদার করা হচ্ছে বলেও জানায় সংস্থাটি। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে। টাইফুন ইয়াগি গত শনিবার ভিয়েতনামে আঘাত হানে। এর ফলে প্রায় সপ্তাহব্যাপী দেশটিতে ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। টানা বৃষ্টির কারণে ভিয়েতনামের উত্তরাঞ্চলের পার্বত্য এলাকায় আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধ্বসের ঘটনা ঘটে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোয় উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাচ্ছেন উদ্ধারকর্মীরা।
লাও সাই প্রাদেশিক সরকার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, মঙ্গলবার প্রদেশটির নুই গ্রামে ৩৭টি বাড়ি আকস্মিক বন্যায় ভেসে যায়। এতে নিখোঁজ হওয়া ৪১ ব্যক্তির সন্ধানে কাজ করে যাচ্ছে উদ্ধারকারীরা। এখন পর্যন্ত সেখানে ৪৬ জন গ্রামবাসীর মৃত্যু নিশ্চিত করা গেছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা জানিয়েছে, লাও সাই প্রদেশের আরেক গ্রামে নিখোঁজের তালিকায় থাকা ১১৫ জন ব্যক্তি ফিরে এসেছেন। একটি পাহাড়ে তারা দুইদিন বিদ্যুৎ ও টেলিফোন সেবা ছাড়া অবস্থান করেছিলেন। জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ বলেছে, দুর্যোগে ঘরবাড়ি হারানো হাজার হাজার শিশু এখন সুপেয় পানির অভাবে আছে। দুর্যোগে স্কুল ভবনগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া বিদ্যুৎ ও পানি সংকট দেখা দিয়েছে। ফলে শিক্ষা, মানসিক সুস্বাস্থ্য ও স্কুল ফিডিং প্রোগ্রাম সুবিধা বঞ্চিত হয়েছে প্রায় ২০ লাখ শিশু। ক্ষতিগ্রস্ত শিশু ও তাদের পরিবারের জন্য প্রাথমিকভাবে দেড় কোটি মার্কিন ডলার সহায়তার প্রয়োজন বলে জানিয়েছে ইউনিসেফ। ভিয়েতনামের সরকার বলেছে, রাজধানী হ্যানয়ে লোহিত নদীর পানি নামতে শুরু করেছে। ফলে কিছু সেতুতে গাড়ি চলাচল শুরু হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড়, বন্যা ও ভূমিধ্বসে ক্ষতিগ্রস্তরা বীমা প্রতিষ্ঠানে অর্থ দাবি করেছে এবং বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এ দাবির পরিমাণ ছিল প্রায় ২৮ কোটি ৩৬ লাখ মার্কিন ডলার বলে অর্থ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। এদিকে, ইয়াগির তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ২০ লাখ ডলারের সহায়তা ঘোষণা করেছে অস্ট্রেলিয়া। তার অংশ হিসেবে শুরু হয়েছে ত্রাণ প্রদানের কাজ। দক্ষিণ কোরিয়ার পক্ষ থেকেও ২০ লাখ ডলার সহায়তার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। আর মার্কিন সহযোগিতা সংস্থা ইউএসএআইডি ঘোষণা করেছে ১০ লাখ ডলার সহায়তার। ভিয়েতনামে গত কয়েক দশকে আঘাত হানা ঘূর্ণিঝড়ের মধ্যে ইয়াগি ছিল সবচেয়ে প্রলয়ংকারী। এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, বৈশ্বিক উষ্ণতা বাড়তে থাকায় পানির তাপমাত্রাও বেশি থাকছে। ফলে প্রায়ই শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় দেখা যাচ্ছে।