বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রক্তক্ষয়ী এক সংগ্রামের ফলে পদত্যাগ করেছেন শেখ হাসিনা সরকার। দেশে গঠিত হয়েছে নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। গত ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে দেশ ছেড়েছেন শেখ হাসিনা। তার সময়ে কণ্ঠ দমিয়ে রাখা মানুষগুলো এখন মুখ খুলছেন একের পর এক। সেই দলের একজন নন্দিত গায়িকা কনকচাঁপা।
তার রাজনৈতিক পরিচয়ও আছে। তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। আর এ কারণে বিগত সরকারের আমলে অনেক ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে তাকে। প্রায় অর্ধ যুগেরও বেশি সময় ধরে গান গাওয়া থেকে বিরত রাখা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন এ শিল্পী।
বিগত সরকারের সমালোচনা করে কনকচাঁপা বলেন, ‘আমি বিগত সাতটি বছর বিভিন্নভাবে নিগৃহীত হয়েছি, তাতে মোটেই ভেঙে পরিনি। আমি সবসময় হাসিখুশি থেকেছি। কখনো কাঁদিনি। কখনো হতাশ হইনি। যত সমস্যা এসেছে, কারো কাছে অভিযোগও করিনি। আমাকে সাত বছর বোবা করে রাখা হয়েছে, যা বর্ণনাতীত। আমি কোনো কিছু লিখতে পারতাম না। শুধু তাই নয়, আমি গান গাইতেও পারিনি। একজন শিল্পী যদি গান গাইতে না পারে, তার বোবা হয়ে যাওয়াই ভালো। কিন্তু আমি এতকিছুর পরও আশা হারাইনি।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শুরুতেই ছাত্রদের পক্ষে ছিলেন কনকচাঁপা। ছাত্র হত্যার প্রতিবাদে গেল ১৭ জুলাই এক ফেসবুক পোস্টও করেন তিনি। লিখেছিলেন, ‘আমি সবসময়ই ন্যায়ের পক্ষে। ছাত্রদের যৌক্তিক আন্দোলনে হামলা, নিপীড়ন, রক্তপাত বন্ধ হোক। স্বাধীন বাংলাদেশে সম-অধিকার নিশ্চিত হোক।’
প্রসঙ্গত, তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে গানের সঙ্গে আছে কনকচাঁপা। সিনেমায় তার গাওয়া গানের সংখ্যা তিন হাজারেরও বেশি। ৩৫টিরও বেশি একক অ্যালবাম প্রকাশ হয়েছে তার।