ফিলিস্তিনের উত্তর গাজার আল-শিফা হাসপাতালে অভিযান শুরু করেছে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলেছে, আল-শিফা হাসপাতালের বিশেষ এলাকাগুলোয় তারা হামাসের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করছে। হাসপাতালটিতে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের সদস্যরা লুকিয়ে আছেন এবং সেখান থেকে কার্যক্রম পরিচালনা করছেন বলে আগে থেকেই অভিযোগ জানিয়ে আসছিল ইসরায়েল। আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘অসংখ্য ইসরায়েলি সেনা আল-শিফা হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ভবনে প্রবেশ করেছে।’ হাসপাতালের এক চিকিৎসক জানিয়েছেন যে সেখানে এখন আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
আল-জাজিরাকে ডক্টর আহমেদ মোখাল্লালাতি বলেন, ‘আমরা জানি না তারা আমাদের কী করবে। তারা সাধারণ মানুষকে হত্যা করবে – নাকি সেখানে তাণ্ডব চালাবে। আমরা শুধু এটা জানি যে তারা মিথ্যা প্রচারণা চালাচ্ছে। এটা ইসরায়েলিরাও জানে যে আল-শিফা হাসপাতালে কোনো কিছু নেই। তারপরেও তারা এখানে উগ্রবাদী কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে।’
এ বিষয়ে হামাস বলেছে, আল-শিফা হাসপাতালে ইসরায়েলের সামরিক অভিযানের জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট অনুমতি দিয়েছেন। জো বাইডেনের সবুজ সংকেত পেয়েই ইসরায়েলি সেনারা এ বর্বর অভিযান চালিয়েছে। ফিলিস্তিনি সংগঠনটি বলেছে, ইসরায়েলিরা শিশু, রোগী এবং নিরপরাধ বেসামরিক নাগরিকদের হত্যায় জড়িত। তাদের জবাবদিহি করতে হবে।
হামাস জানিয়েছে, ইসরায়েলের মিথ্যাচারকে গ্রহণ করেছে হোয়াইট হাউস এবং পেন্টাগন। তারা আল-শিফা হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে আরও গণহত্যা করার জন্য ইসরায়েলকে অনুমতি দিয়েছেন। ইসরায়েলিরা উত্তর গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত করেছে। তারা আবারও ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে দখল করতে চাইছে।
অপরদিকে ইসরায়েল বলেছে যে হামাস যোদ্ধারা আল-শিফা হাসপাতালের ভিতরে এবং নীচে কাজ করছে – যেখানে ইসরায়েলি জিম্মিরা থাকতে পারে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও ইসরায়েলের দাবিকে সঠিক বলে মনে করছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরায়েল তাদের এ দাবির বিষয়ে সুনির্দিষ্টভাবে কোনো প্রমাণ দেয়নি।