ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কারাগারে বন্দী থাকা অবস্থায় কসবা থানায় নতুন করে দায়ের করা একটি বিস্ফোরক মামলায় আসামি করা হয়েছে দ্বীন ইসলাম ভুঁইয়াকে। কসবা থানায় ৩ নভেম্বর দায়ের করা ৩ নম্বর মামলায় তাকে ৫২ নম্বর আসামি করা হয়েছে। এছাড়াও ওমরা হজ করতে যাওয়া আল আমিনকেও একই মামলায় ৪৪ নম্বর আসামি করা হয়েছে। এই মামলায় সাক্ষী করা হয়েছে ৭ জনকে।
দায়ের করা মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ২ নভেম্বর বিএনপি ও জামায়াতের অবরোধ কর্মসূচিতে আসামিরা নাশকতা করে এবং মামলার বাদী এমদাদুল হক পলাশকে মারধর করেছেন। আহত হয়ে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাও নিয়েছেন।
দ্বীন ইসলাম ভুঁইয়ার পরিবারের কাছে থেকে পাওয়া তার অন্য একটি মামলার বিররণীতে দেখা যায়, তিনি চলতি বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে রয়েছেন। সদর থানার একটি মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানা থেকে কোর্টে চালান করার একটি নথিতে দেখা যায়, ২০২১ সালের ২৭ মার্চের এফআইআর নং-৪২/১৩৪ (১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের) একটি মামলায় ২০২৩ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর সকাল ৯টা ২৫ মিনিটে দ্বীন ইসলাম ভুঁইয়াকে কোর্টে চালান করা হয়েছে। এতে তার ঠিকানা উল্লেখ করা হয়েছে- দ্বীন ইসলাম ভুঁইয়া, পিতা- মৃত আনু মিয়া ভুঁইয়া, মাতা- মৃত আফিয়া খাতুন, বর্তমান ঠিকানা- গ্রাম: ভাদুঘর (টিএনটি পাড়া), উপজেলা- ব্রহ্মণবাড়িয়া সদর।
তখন থেকেই তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া কারাগারে বন্দী রয়েছেন বলে দাবি পরিবারের নিকটাত্মীয় আতাউর রহমান সরকারের। কারাগারে থাকাবস্থায় তিনি কিভাবে অবরোধ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করলেন কিংবা বাদীকে মারধর করলেন? মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলায় তাকে জড়ানোর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে মামলার বাদী এমদাদুল হক পলাশের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেবেন বলেও জানিয়েছেন তার পরিবার।