শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর কয়েকটি ‘সন্দেহজনক কোম্পানির’ চেকের মাধ্যমে দুই হাজার কোটি টাকা উত্তোলনের চেষ্টা করলে তা আটকে দিয়েছে ইসলামী ব্যাংক পিএলসি। গত মঙ্গলবার ও বুধবার এসব টাকা উত্তোলনের সময় আটকে দেওয়া হয়। মঙ্গলবার(৬ আগস্ট) ব্যাংকটি একদিনে ৯০০ কোটি টাকা উত্তোলন আটকে দেয়। গোল্ডেন স্টার ও টপ টেন ট্রেডিং হাউস নামে দুটি কোম্পানি এই অর্থ উত্তোলনের চেষ্টা করেছিল। বুধবার (৭ আগস্ট) এস আলম গ্রুপের বিভিন্ন কোম্পানির ১১০০ কোটি টাকা উত্তোলনের চেকও প্রত্যাখ্যান করে ব্যাংকটি। ব্যাংকের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা জানান, দুটি প্রতিষ্ঠানই ব্যাংকের মালিকদের সঙ্গে সম্পৃক্ত। আর সরকার পরিবর্তনের কারণে টাকা তুলতে বাধা দিয়েছে তারা। ব্যাংকের ‘বঞ্চিত’ কর্মকর্তারা সুবিধাভোগী কর্মকর্তাদের পদত্যাগের পাশাপাশি গত সাত বছরে যোগদানকারী কর্মকর্তাদের অপসারণের দাবি জানিয়ে আসছেন। একপর্যায়ে তারা ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এএমডি) মুহাম্মদ কায়সার আলীকে পদত্যাগের জন্য চাপ সৃষ্টি করেন। পরে কায়সার এমডির কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়ে সেনাবাহিনীর সহায়তায় ব্যাংক ত্যাগ করেন।