ঢাকামঙ্গলবার , ৩০ জুলাই ২০২৪
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. কৃষি ও অন্যান্য
  5. খেলাধুলা
  6. গল্প ও কবিতা
  7. জাতীয়
  8. তথ্যপ্রযুক্তি
  9. দেশজুড়ে
  10. ধর্ম ও জীবন
  11. প্রবাস
  12. বানিজ্য
  13. বিনোদন
  14. বিশেষ প্রতিবেদন
  15. মুক্তমত
আজকের সর্বশেষ সবখবর

‘সরকার কি তরুণ-ছাত্র সমাজের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে’?

নিজস্ব প্রতিবেদক
জুলাই ৩০, ২০২৪ ১০:০৯ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেছেন, বিভিন্ন স্থানে ব্লক রেইড করে আমাদের ছাত্র এবং তরুণদেরকে গ্রেপ্তার ও নির্যাতন করা হচ্ছে। তখন আমাদের মনে প্রশ্ন আসে, এই সরকার কি বাংলাদেশের তরুণ ছাত্রসমাজের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে? এটা কি কোনো অধিকৃত ভূমি? এটা কী গাজা স্ট্রিট নাকি কাশ্মির? মঙ্গলবার দুপুরে ডিআরইউ সাগর-রুনি মিলনায়তনে ‘হত্যা, অবৈধ আটক ও নির্যাতনের বিচার চাই’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। ড. আসিফ নজরুল বলেন, আমরা শুনতে পাচ্ছি ২৬৭ জন মারা গেছে। একটা শব্দও বাড়িয়ে বলছি না। কালকে জিনিস কিনতে গিয়েছিলাম একটা দোকানে। তিনি বলেন, স্যার আমরা বিশ্বাস করি হাজার হাজার লোক মারা গেছে। আমরা এই সরকারকে বিশ্বাস করি না। তিনি বলেন, আমি প্রতি রাতে ঘুমাতে পারি না। গতকাল ফোন এসেছে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ভাটারা থানায় ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাদেরকে অত্যাচার করা হয়েছে। গতকালই বাংলা বিভাগের এক ছাত্রকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ফোন এসেছিল একটি জায়গায় ব্লক রেইড করা হচ্ছে, কথা শুনতে পারছিলাম না। এর আগে আমরা শুনেছি কারফিউ জারি করে চারদিকে ঘিরে ধরে হেলিকপ্টারের আলো ফেলে বাংলাদেশের ছাত্র ও তরুণদেরকে গণগ্রেপ্তার করা হচ্ছে। গায়ে আঘাতের চিহ্ন আছে কিনা দেখা হচ্ছে। আঘাতের চিহ্ন থাকা মানে সে আন্দোলনে ছিল। তারপর তাকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। ড. আসিফ নজরুল বলেন, আমি ঘুমাতে পারি না যখন শহীদ মুগ্ধর গল্প পড়ি। যেই ছেলেটা আন্দোলনে গিয়েছিল বিস্কুট আর পানি দেয়ার জন্য। সবাইকে বলছিল পানি লাগবে কিনা। এরকম একটা ছেলেকে মাথায় গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। ১১ বছরের একটা ছেলে জানালা বন্ধ করতে গেছে, তাকে মাথায় গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। ৬ বছরের একটা মেয়ে রিয়া মারা গেছে। ৪ বছরের একটা শিশু বারান্দায় মারা গেছে। বারান্দায়, ছাদে, ঘরে শিশুদের হত্যা করা হয়েছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান, বাংলাদেশের বেসরকারি সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড রিফর্ম ইন বাংলাদেশের (এএলআরডি) নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা, বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. গীতি আরা নাসরীন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান মির্জা তাসলিমা সুলতানা। ঢাবির সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সামিনা লুৎফা।