ঢাকাশনিবার , ৪ মে ২০২৪
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. কৃষি ও অন্যান্য
  5. খেলাধুলা
  6. গল্প ও কবিতা
  7. জাতীয়
  8. তথ্যপ্রযুক্তি
  9. দেশজুড়ে
  10. ধর্ম ও জীবন
  11. প্রবাস
  12. বানিজ্য
  13. বিনোদন
  14. বিশেষ প্রতিবেদন
  15. মুক্তমত
আজকের সর্বশেষ সবখবর

নৌপরিবহন অধিদপ্তরের চীফ নটিক্যাল সার্ভেয়ার ক্যাপ্টেন গিয়াসউদ্দীন ঘুষের বিনিময়ে দুদক থেকে দায়মুক্তি পাচ্ছেন !

বিশেষ প্রতিবেদক
মে ৪, ২০২৪ ৭:৫৮ অপরাহ্ণ
Link Copied!

নৌপরিবহন অধিদপ্তরের চীফ নটিক্যাল সার্ভেয়ার ক্যাপ্টেন মো. গিয়াসউদ্দীন আহমেদ এর বিরুদ্ধে দুর্নীতির মাধ্যমে অর্থ-সম্পদ অর্জনের অভিযোগ থেকে অনৈতিক লেনদেনের মাধ্যমে অনুসন্ধান কর্মকর্তা সহকারী পরিচালক মেহেদী মাসুদ দায়মুক্তির সুপারিশ করেছেন বলে নির্ভরযোগ্য সুত্র থেকে জানা গেছে। এই ঘটনায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে খোদ নৌপরিবহন অধিদপ্তরেই। ক্যাপ্টেন মো. গিয়াসউদ্দীন আহমেদ এর বিরুদ্ধে দুর্নীতির তদন্ত প্রক্রিয়া রিপোর্ট ও সুপারিশ যা সম্পূর্ণটাই অসত্য মিথ্যা জালিয়াতিপূর্ণ এবং ভয়াবহ স্বজনপ্রীতি। খোদ নৌপরিবহন অধিদপ্তরের সাধারণ কর্মকর্তা কর্মচারী, দুদক-সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা কর্মচারী ও সাধারণ মানুষ দারুণভাবে মর্মাহত হয়ে ঘৃণাভরে এই অনুসন্ধান রিপোর্ট প্রত্যাখ্যান করেছে। একই সাথে কথিত অনুসন্ধান কর্মকর্তার বিরুদ্ধেও তদন্ত হওয়া প্রয়োজন বলেও মত প্রকাশ করেছেন সচেতন মহল।
প্রসঙ্গত: এক অভিযোগে নৌপরিবহন অধিদপ্তরের ক্যাপ্টেন মো. গিয়াস উদ্দিন আহম্মেদ বিরুদ্ধে জানা যায়, তিনি মোট ২১টি জাহাজে চাকুরীর যে তথ্য এবং কাগজপত্র দুদকে দাখিল করেছে তা জালিয়াতিপূর্ণ এবং ভুয়া। অনুসন্ধান কর্মকর্তা গিয়াস উদ্দিন আহমেদের জাহাজে চাকরি তথ্য ও বেতনের ডকুমেন্ট সঠিকভাবে যাচাই বাছাই করেননি।
তিনি সরকারী চাকুরীতে যোগদানকরে ধানমন্ডি ২৭ নং রোডে ইস্টার্ন হাউজিং লিমিটেডের একটি আলিশান ও বিলাশবহুল ফ্ল্যাট কিনেছেন যার প্রকৃত মূল্য ৫ কোটি টাকার ঊর্ধ্বে। কিন্তু তিনি মাত্র ২ কোটি ৮০ লাখ টাকা তার আয়কর নথিতেতে দেখিয়েছেন। এই অস্বাভাবিক টাকা লেনদেন ২০১৭ সাল থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে এই ৩ বছরে তার সম্বন্ধী মো. লিটন রহমান ঢালীর একাউন্ট থেকে তার একাউন্টে স্ট্যান্ডার্ড চাটার্ড ব্যাংকের মাধ্যমে লেনদেন হয়েছে। লিটন রহমান ঢালীর একাউন্টে যে টাকা গিয়েছে সেই টাকা নারায়ণগঞ্জের একটি ব্যাংক একাউন্ট থেকে গিয়েছে এবং ওই টাকা গিয়াস উদ্দিনের ঘুষ দুর্নীতির টাকা যার বৈধ কোনো উৎস নেই। গিয়াসউদ্দিন আহমেদ এবং লিটন রহমান ঢালীর সকল ব্যাংক একাউন্টের স্টেটমেন্ট গ্রহণ করলেই তার দুর্নীতির ফিরিস্তি পাওয়া যাবে। কারণ গিয়াস উদ্দিন অত্যন্ত সতর্ক ও চতুরতার সাথে তার সমন্ত ঘুষের লেনদেন তার সম্বন্ধী মো. লিটন রহমান ঢালীর একাউন্ট থেকে তার একাউন্টে লেনদেন হতো।
নামে বেনামে বিপুল সম্পদের মালিক গিয়াসউদ্দিন আহমেদ অনেক ধুর্ত প্রকৃতির মানুষ ঘুষ ও অবৈধ উপার্যনের টাকা কিভাবে লুকিয়ে কাজে লাগাতে হয় তা ভালোভাবেই জানেন। তাই তিনি তার নিজ গ্রামে যে বাড়িটি নির্মাণ করেছেন তার মূল্য দুই কোটি টাকার ঊর্ধ্বে। তিনি তার আয়কর নথিতে ওই বাড়ির নির্মাণ মূল্য এক কোটি টাকা প্রদর্শন করেছেন। গণপূর্তের প্রকৌশলীরা পরিমাপ করে নির্মাণ মূল্য দেখিয়েছেন ৬০ লক্ষ টাকা। এখানে গিয়াসউদ্দিন আহমেদ ৪০ লক্ষ টাকার তথ্য গোপন করেছেন।
গিয়াসউদ্দীন আহমেদ এর টাকার উৎস সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি বিদেশে থাকতে পাঁচ কোটি টাকা পাঠিয়েছি ও বিদেশ থেকে আসার সময় দেড় কোটি নিয়ে এসেছি এবং সরকারের কাছ থেকে পেয়েছি তিন কোটি টাকা। অপর এক কথায় তিনি বলেন, ৫০০ টাকার সাংবাদিক আছে, তবে আপনাকে বলছি না, সাংবাদিকরা অনেক কিছু সংগ্রহ করতে পারে। তার সম্বন্ধী মো. লিটন রহমান ঢালীর একাউন্ট থেকে তার একাউন্টে টাকা আসার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি তাকে টাকা ধার দিয়ে ছিলাম। তবে কবে কোথায় কেন টাকা ধার দিয়েছিলেন এ ব্যাপারে কোন সদুত্তর দিতে পারেননি। তার পুরো সম্পদের সঙ্গে আয়ের অসংগতি বিদ্যমান।
এ বিষয়ে প্রতিজনের নজরে স্পষ্ট ধরা পড়লেও গিয়াসউদ্দীন আহমেদ ছাই দিয়ে মাছ ঢাকার ন্যায়ে চেষ্টা করে যাচ্ছেন। একই সাথে সাধারণ মানুষের প্রশ্ন কত টাকায় অনুসন্ধান কর্মকর্তা সহকারী পরিচালক মেহেদী মাসুদ দায়মুক্তির সুপারিশ করেছেন যা অত্যন্ত রহস্যজনক ?
সাধারণ মানুষ মনে করেন, অনুসন্ধান কর্মকর্তা যে প্রতিবেদন দাখিল করে পরিসমাপ্তির সুপারিশ করেছেন সেই প্রতিবেদন সঠিকভাবেই পর্যালোচনা করে এবং যে সমস্ত অভিযোগ তিনি যাচাই-বাছাই করেননি তা পুনরায় যাচাই-বাছাই করে সঠিক ও পরিপূর্ণ প্রতিবেদন দাখিল করলে সব কিছু স্পষ্ট হয়ে যাবে। এই বিষয়ে দুদক চেয়ারম্যান ও মহাপরিচালক তদন্ত ও অনুসন্ধানের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন অভিযোগকারী।

%d bloggers like this: