ঢাকামঙ্গলবার , ২ এপ্রিল ২০২৪
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. কৃষি ও অন্যান্য
  5. খেলাধুলা
  6. গল্প ও কবিতা
  7. জাতীয়
  8. তথ্যপ্রযুক্তি
  9. দেশজুড়ে
  10. ধর্ম ও জীবন
  11. প্রবাস
  12. বানিজ্য
  13. বিনোদন
  14. বিশেষ প্রতিবেদন
  15. মুক্তমত
আজকের সর্বশেষ সবখবর

হোমিও ওষুধের আড়ালে চলছে ভিটামিন ও যৌন উত্তেজক ওষুধের রমরমা ব্যবসা!

এস এম বদরুল আলম
এপ্রিল ২, ২০২৪ ৯:২০ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ঢাকাসহ সারা দেশে হোমিও ওষুধের আড়ালে চলছে রমরমা যৌন উত্তেজক ওষুধের ব্যবসা। রাজধানীসহ সারা দেশে এ ব্যবসা চললেও কর্তৃপক্ষ দেখেও না দেখার অভিনয় করছে। এতে প্রতারিত হচ্ছেন লাখ লাখ দ্বিধাগ্রস্ত যুবক। দেশের সামাজিক অবস্থার কারণে এখনো যৌন বিষয়টি গোপন হিসেবেই ধরে নেওয়া হয়। তাই এ সংক্রান্ত কোনো সমস্যা হলেও আক্রান্তরা পরিবারের কাউকে না জানিয়ে এসব অসাধু ব্যবসায়ীদের দারস্থ হন। এমন কি তারা প্রতিষ্ঠিত কোনো ডাক্তারের কাছেও যান না। রাস্তা থেকে শক্তিবর্ধক, উদ্দীপক আর জিনসিন নামের নানা ওষুধ কিনে নিচ্ছেন। ওষুধ প্রশাসন থেকে হোমিও ওষুধ তৈরির নামে সনদ নিয়ে রাজধানীর বিভিন্ন আবাসিক এলাকায় গড়ে উঠেছে নামে-বেনামে হোমিও কারখানা। নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই হোমিও ওষুধ তৈরির নামে এসব কারখানাগুলোতে তৈরি হচ্ছে মূলত যৌন উত্তেজক ওষুধ। যৌন উত্তেজক ওষুধ তৈরির সনদ না দিলেও প্রশাসনের নাকের ডগায় এসব ওষুধ তৈরি ও বাজারজাত করেই চলেছে অসাধু মালিকরা। ওষুধ প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভাষ্য-এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলেই তাদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করবে প্রশাসন। এছাড়া আবাসিক এলাকা থেকে এসব কারখানা সরিয়ে শিল্প এলাকায় সরিয়ে নিতে ওষুধ প্রশাসন থেকে তাগাদা দেওয়ার পরও তা মানছে না এসব প্রতিষ্ঠান। ওষুধ প্রশাসনের সনদ প্রাপ্ত কোনো হোমিও কারখানা কোনো আবাসিক এলাকায় রয়েছে এমন অভিযোগ পেলে তাদের সনদ বাতিল করবে বলে বলছে ওষুধ প্রশাসন কর্তৃপক্ষ।
অভিযোগ রয়েছে, এসব প্রতিষ্ঠানে নেই কোনো হোমিও ক্যামিস্ট। ওষুধ প্রশাসনের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশে মনগড়া হোমিও ওষুধ তৈরি করে বাজারজাতকরণের মধ্য দিয়ে করছে প্রতারণা। ওষুধ প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতার মধ্যেও রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানাধীন কোনাপাড়া এলাকায় ‘জে বক্স কোম্পানি’ লিমিটেড নামে হোমিও ওষুধ তৈরির একটি কারখানা দীর্ঘদিন ধরে যৌন উত্তেজক ওষুধ তৈরি করছে। ৬ তলা একটি ভবন ভাড়া করে শুধু যৌন উত্তেজক ওষুধই নয়, যৌন ব্যবসাসহ নানা ধরনের অবৈধ কর্মকা-চালিয়ে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, স্থানীয় সন্ত্রাসীদের মাসোহারা দিয়ে প্রতিষ্ঠানটি সম্পূর্ণ নিরাপদভাবে চালিয়ে যাচ্ছেন মালিকপক্ষ। যৌন উত্তেজক ওষুধ ও দেহ ব্যবসার মাধ্যমে এ প্রতিষ্ঠান কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এ প্রতিষ্ঠানের কেউ কোনো সাংবাদিকের সাথে কথা বলতে রাজি নয়। এমনকি মালিকপক্ষের অনুমতি ছাড়া কারখানার ভেতরে প্রবেশেও রয়েছে নিষেধাজ্ঞা। কারখানাসংশ্লিষ্ট একজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ওষুধ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তার যোগসাজশেই এ ব্যবসা চলছে। তাই এখানে ওষুধ প্রশাসনের পক্ষ থেকে কেউ অভিযানে আসে না। দনিয়া আবাসিক এলাকাতেও রয়েছে বিনোচন হোমিও ইন্ডাস্ট্রি নামে একটি হোমিও ওষুধ কারখানা। এ কারখানার বাইরে নেই কোনো সাইনবোর্ড। আড়ালে-আবডালে থেকে হোমিও ওষুধ তৈরির নামে এ প্রতিষ্ঠানটিও তৈরি করছে বিভিন্ন যৌন উত্তেজক ওষুধ। কারখানটিরও ভেতরে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে জানিয়ে দায়িত্বরত দারোয়ান বলেন, মালিকপক্ষের সঙ্গে কথা বলেন। তাছাড়া ভেতরে প্রবেশ করা যাবে না। কারখানার আশপাশের নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা যায়, এদের কোনো ক্যামিস্ট নেই। এসব ওষুধ তৈরির কারখানাগুলোয় নোংরা পরিবেশ। প্রতিষ্ঠানটির মালিক নুর মোহাম্মদের ফোন নম্বর চাইলেও কারখানাসংশ্লিষ্ট কেউ দিতে রাজি হননি। যাত্রাবাড়ীর কাঠেরপুল এলাকায় ইউনিক হোমিও কোম্পানি নামে আরো একটি হোমিও ওষুধের ফ্যাক্টরি রয়েছে। সেখানেও একই অবস্থা। নেই কোনো ক্যামিস্ট, নোংরা পরিবেশে বিষাক্ত ক্যামিকেল দিয়ে তৈরি হচ্ছে হোমিও ওষুধের আড়ালে যৌন উত্তেজক ওষুধ। আঞ্চলিক এলাকা সমূহে ভেজাল ও নিম্নমানের হোমিও ঔষধে বাজার সয়লাব হয়ে গেছে। আঞ্চলিক ড্রাগ সুপারদের উপরি আয়ের কারণে ক্ষতিকারক ও বিষাক্ত স্প্রীট মিশ্রিত হোমিও ঔষধের মরণ ছোবল বেড়েই চলছে। হোমিও ঔষধ কোম্পানীগুলো নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে স্বঘোষিত আইটেম বানিয়ে সেবার নামে সর্বনাশ করছে। ক্ষুধাবৃদ্ধি, রুচিবর্ধক, বলবর্ধক ও যৌনবর্ধক নামে অবাধ ব্যবসা চালিয়ে গেলেও কেন ড্রাগ প্রশাসনের নজরে আসছেনা তা নিয়ে বিতর্ক চলছে। ক্ষতিকারক ও বিষাক্ত ঔষধ ব্যবসায় যেসব হোমিও কোম্পানী মানুষের সাথে ডিজিটাল কারসাজী চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের মধ্যে অন্যত হলো-ইউনিসান হোমিও, জে বক্স এন্ড কোঃ, ম্যাক্সফেয়ার কোম্পানী লিঃ, ইউনিক হোমিও ল্যাবরেটরীজ, হ্যানিম্যান হোমিও ফার্মাসিউটিক্যাল, লাইফ কেয়ার হোমিও, প্রগতি হোমিও ল্যাবরেটরীজ, জোহা হোমিও, মডেল হোমিও, ন্যাশনাল হোমিও ল্যাবরেটরীজ, গ্লোব ল্যাবরেটরীজ হোমিও, ইউনাইটেড হোমিও, বেঙ্গল হোমিও ল্যাবরেটরীজ, ওয়েস্টার্ন হোমিও ল্যাবরেটরীজ, ডিপলেট হোমিও, রাজধানী হোমিও ল্যাবরেটরীজ, কেয়ার হোমিও ল্যাবরেটরীজ ও ভার্টেক্স ফার্মাসিউটিক্যাল হোমিও।
ইউনিসন হোমিও ল্যাবরেটরীজ নামের কোম্পানী দীর্ঘ দিন ধরে স্প্রীট ব্যবসা করায় ১৯৯৮ সালে গাইবান্ধায় ৭১ জন, ২০০০ সালে বগুড়ায় ২২ জন এবং বগুড়া ট্রাজিটি রেকটিফাইড স্প্রীট খেয়ে ১৬ জন মৃত্যুবরণ করলেও কোম্পানী এখনো বহাল তবিয়াতে থেকে স্প্রীট ও জিনসেং ব্যবসা চালিয়ে যেতে সক্ষম হওয়ায় কোনো অপরাধই কোম্পানীর মালিককে ছুঁতে পারেনি। বর্তমানে জিনসেং প্লাস নামে যে ঔষধ সারাদেশে বাজারজাত করছে সেটি হরমোন শক্তি, বলবীর্য, যৌনশক্তি ও যৌন মিলনে দীর্ঘস্থায়ী ফরমুলা উল্লেখ রয়েছে। তবুও যৌনশক্তি বর্ধক সিরাপটি ক্ষতিকারক ও বিষাক্ত হওয়ায় মানুষের যৌনশক্তি ক্রমশঃ হারানোর সম্ভাবনাই বেশি। তারপরও প্রশাসনকে ম্যানেজ করে অবাধ ব্যবসা করায় কোম্পানীর মালিক এখন কোটি কোটি টাকার মালিক। প্রশ্ন হলো, ইউনিসান হোমিওর ঔষধ সেবন করে এতগুলো মানুষের জীবন ঝরে গেল। অথচ প্রতিষ্ঠানটির মালিক এখনো বহাল তবিয়াতে থেকে স্প্রীট ব্যবসায় সক্রিয়। ড্রাগ প্রাশসনকে ম্যানেজ করে জিনসেং-প্লাস বিক্রি করায় কোম্পানীর মালিকের ভাগ্যের চাকা ঘুরিয়ে দিয়েছে। হোমিও ব্যবসা করে অল্প সময়ের ব্যবধানে কোটিপতি বনে যাওয়া বিশ্বাসযোগ্য না হলেও ইউনিসান হোমিওর বেলায় তা বাস্তবে রূপ দিয়েছে। যার সুবাধে বগুড়ায় ৮ বিঘা জমি ক্রয় এবং ফতুল্লায় ৪০ হাজার স্কয়ার ফিট জমিতে বিশাল কারখানা করতে সক্ষম হয়েছে। প্রশাসন যদি আইনী ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে আরো কোনো ট্রাজিটি সংঘটিত হওয়ার সম্ভবনা উড়িয়ে দেয়া যায় না। জে বক্স এন্ড কোঃ লিঃ নামের কোম্পানীর মালিক স্প্রীট নান্নু নামেই সবাই চিনে। প্রশাসনকে ম্যানেজ করে বিদেশ থেকে ইথাইল এলকোহল আমদানী করে ঔষধ না বানিয়ে খোলা বাজারে বিক্রির অভিযোগ দীর্ঘদিনের। প্রতিষ্ঠানটির কারখানায় র‌্যাবের অভিযানে অসংখ্যা অনিয়ম পেয়ে মোটা অংকের টাকা জরিমানা করলেও বিগত বছরে ড্রাগ প্রশাসন নান্নুর কারখানায় উকি দিয়েও একবার দেখেনি। ফলে, স্প্রীট নান্নু এখনও স্প্রীটের মতোই সব অবৈধ্য কাজ বৈধ করে নিয়েছে। অভিযোগ উঠেছে ড্রাগ প্রশাসনের ফাইলিং কর্মকর্তাকে মসোয়ারা দিয়ে প্রকাশ্যে স্প্রীট ব্যবসা করছে। এমনকি, ড্রাগ আইন বহির্ভূত সোস্যাল মিডিয়ায় বিজ্ঞান প্রচার করে অবৈধভাবে বাজারজাত করছে জিনসেং কিউ, জিংপোর্ট, ডায়াবক্স, জে আমব্রাফোর্ট, গ্যাস্টোকিউর, জিংগো-বি, ফাইটোলেক-প্লাস, প্রোফেস্ট এজমালিন, ক্যাকটাস, কার্ডিরেক্স, স্টোবক্স, এম্বালিকা, আলফাটোন, কেলি-ডি, লেক্সোকিউর, বেবিলিন কিউর নামের ঔষধ। র‌্যাব যেখানে অভিযান চালিয়ে বিষাক্ত ক্যামিকাল ও অবৈধভাবে মওজুদকৃত স্প্রীট জব্দ এবং অনুমোদহীন ঔষধের লেবেল-কার্টন জব্দ করে মোটা অংকের টাকা জরিমানা করেন। সেখানে ড্রাগ প্রাশসনের তদারিক বা নজরদারি কোনোটাই নেই। যার ফলে, প্রতিষ্ঠানটি স্বঘোষিত ফরমুলায় হোমিও ঔষধ বাজারজাত করে স্বাস্থ্য সেবায় চরম ক্ষতিসাধন করছে। বিষয়টি ডিবির নজরে আসলে জেবক্স এন্ড কোঃ লিঃ এর মুখোশ উম্মোচিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ম্যাক্সেফেয়ার এন্ড কোম্পানী লিঃ। প্রতিষ্ঠানটির মালিক এক সময় হোমিও ঔষধ শিল্প সমিতির প্রভাবশালী নেতা ছিলেন। যার সুবাদে হোমিও ঔষধ উৎপাদন ও বাজারজাতে ড্রাগ আইনের তোয়াক্কাই করতেন না। ড্রাগ প্রাশসনের ফাইলিং কর্মকর্তাও তাকে সমীহ করে ফাইলের কাজ করে দিতেন। একই ঔষধ ভিন্ন ভিন্ন ক্যাটাগরিতে তৈরি ও বাজারজাতে প্রতিষ্ঠানটি সবার শীর্ষে। তিনি কোম্পানীর সাইনবোর্ডে ড্রাগ আইন বর্হিভূত সোস্যাল মিডিয়ায় বিজ্ঞাপন প্রচার করে বাজারজাত করছে আমলকি-কিউ, জাস্টিসিয়া, আলফা-প্লাস, গ্যাস্ট্রোবিন, টোম্যাক্স, এম-ফোর্ট, ডায়াবোম্যাক্স, নিউমাটক্স, ফাইটোলস, সেলোম্যাক্স, নার্ভোম্যাক্স, জিংকোম্যাক্স, স্যাবাম্যাক্স, অরামনেট-থ্রিএক্স নামের ঔষধ। প্রতিষ্ঠানটির বাজারজাতকৃত হোমিও ঔষধ জব্দ করে পরিক্ষা করলেই কারসাজী বেরিয়ে আসবে। সেহেতু ড্রাগ প্রশাসনের উচিৎ ম্যাক্সফেয়ার কোম্পানীর কারখানায় অভিযান পরিচালনা করা। যদি সেটা বাস্তবে না হয়, তাহলে র‌্যাব বা ডিবির নজরে আসলে ঠিকই কারসাজী বেরিয়ে আসার সম্ভাবনা রয়েছে।
প্রগতি হোমিও ল্যাবরেটরীজ। প্রতিষ্ঠানটি ড্রাগ আইনবহির্ভূত সোস্যাল মিডিয়ায় বিজ্ঞাপন প্রচার করে বাজারজাত করছে জিনসেং-পাওয়ার, কফকিউর, আলফালফা-প্লাস, ব্রনক্যাপ, হোপাসিনা, জিনসেং কিউ, ভিটা-১২, প্রোডিক, গ্লাইক্যাপ, গ্যাস্ট্রোবিন-প্লাস, আমলকি, প্রোহেপা, ব্লাডজিন, ইউরিনেট, লিউকো-কিউর নামের ক্ষতিকারক হোমিও ঔষধ। তবে জিনসেং-পাওয়ারের ডিএআর নম্বর এইচ-৭৫-এ-১৩৬ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে যে, পাওয়ার নামটি অনুমোদিত কিনা। যাই হোক, এসব ঔষধে ক্ষতিকারক উপাদান থাকায় মানুষের স্বাস্থ্য সেবায় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। কেননা, যৌন দুর্বলতা যৌন-অক্ষমতা, শারিরীক দুর্বলতা, বিষণœতা, মানসিক চাপ শ্লোগান দিয়ে বিক্রি করা জিনসেং-পাওয়ার নিয়ে বিতর্ক চলছে। বিষয়টি ড্রাগ প্রশাসনের নজরে নেয়া উচিত বলে মনে করছেন সচেতন মহল। কেয়ার হোমিও ল্যাবরেটরীজের বাজারজাতকৃত বোরাক্স, আলফা, আমলকি, রোমেক্স, জিনসেং কিউ। ইউনিক হোমিও ল্যাবরেটরীজের ইউনিক জিনসেং, আমলকি ও আলফালফা। হ্যানিমান হোমিওর বেবিয়া-ভিটা, জিনসেং কিউ ও এসিড ফস। লাইফ কেয়ার হোমিওর ব্রেইনটনিক, জিনসেং কিউ ও আমলকি-প্লাস। মডেল হোমিওর জিনসেং কিউ, আমলকি, আইকিউর, বায়োলিভ ও কর্ন-কিউর। রাজধানী হোমিওর ভিভাটন, রাজলকি, রাজ আলফা ও কফরিন। কুষ্টিয়ার বেঙ্গল হোমিও ল্যাবরেটরীজের কালমেঘ, ন্যাশনাল হোমিও ল্যাবরেটরীজের ইজি-ডেলিভারী ও ওয়েস্টার্ন হোমিও ল্যাবরেটরীজের ইজি ডেলিভারী ঔষধ নিয়ে সচেতন মহাল প্রশ্ন তুলেছেন। কেননা, এসব ঔষধ স্বাস্থ্যসেবায় কতটা নিরাপদ বা ঝুঁকিপূর্ণ তা ড্রাগ প্রশাসন নজরে আনেনি। উল্লেখ্য, ওয়েস্টান হোমিওর ইজি-ডেলিভারী নামের ঔষধের লেবেল-কার্টনে বাচ্চা ও মায়ের ছবি ব্যবহার করে বাজারজাত করার বিষয়টি কুষ্টিয়ার ড্রাগ সুপারকে অবহিত করার পরও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এ ধরনের গাফেলতি আর অবহেলার কারণে হোমিও কোম্পানীগুলো স্বঘোষিত ফরমুলায় নামে বেনামে এবং প্রচলিত নিয়মের তোয়াক্কা না করে যা ইচ্ছা তা করে যাচ্ছে। অবাক কা- হচ্ছে- র‌্যাব ও ডিবি যেখানে ইউনানী ও আয়ুর্বেদিক ঔষধ কারখানায় অভিযান পরিচালনা করে নকলবাজদের পাকড়াও করছেন এবং কারখানা সিলগালা করে জরিমানাসহ মামলা করছেন। সেখানে ড্রাগ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে তাই নয়, ঔষধ সেক্টরে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। সচেতন মহল বলছেন, ড্রাগ প্রশাসনের নিরবতা নকল-ভেজাল ঔষধ ব্যবসার প্রসার ঘটছে। সেহেতু হোমিও ঔষধ কারখানায় সাড়াশী অভিযান পরিচালনা করে উল্লেখিত ঔষধ জব্দ করে পরীক্ষা করলেই হোমিও ঔষধ কোম্পানির স্বঘোষিত কারসাজি ও প্রতারণার মুখোশ উন্মোচিত হবে। কেননা, অভিযুক্ত কোম্পানীর হোমিও ব্যবসার আড়ালে স্প্রীট ব্যবসাই মূল পেশা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সে ক্ষেত্রে এসব ক্ষতিকারক ঔষধ স্বাস্থ্যসেবায় হুমকি হয়ে দাঁড়াবে।