ঢাকাবুধবার , ৩ এপ্রিল ২০২৪
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. কৃষি ও অন্যান্য
  5. খেলাধুলা
  6. গল্প ও কবিতা
  7. জাতীয়
  8. তথ্যপ্রযুক্তি
  9. দেশজুড়ে
  10. ধর্ম ও জীবন
  11. প্রবাস
  12. বানিজ্য
  13. বিনোদন
  14. বিশেষ প্রতিবেদন
  15. মুক্তমত
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ইউনানী-আয়ুর্বেদিক ওষুধের নামে শুভঙ্করের ফাঁকি

এস এম বদরুল আলম
এপ্রিল ৩, ২০২৪ ৮:৫৩ অপরাহ্ণ
Link Copied!

* ভুয়া ওষুধে মানবদেহে বাসা বাঁধছে প্রাণঘাতী রোগ
* যৌন সমস্যা ঘিরে মূল ব্যবসা
* বছরের পর বছর ধরে প্রতারণা
* পর্দার আড়ালে নামে-বেনামে ওষুধ কারখানা
* মানা হয় না কোনো নিয়ম-কানুন
* দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি ভুক্তভোগীদের
ব্যাঙের ছাতার মতো যেখানে সেখানে গড়ে উঠেছে ইউনানী-আয়ুর্বেদিক ওষুধের দোকান। আর পর্দার আড়ালে নামে-বেনামে রয়েছে এইসব ওষুধের কারখানা। ইউনানী চিকিৎসা নেয়া অনেকেই এই ওষুধ সম্পর্কে কোনো ধারণাই রাখেন না। এসব কোম্পানির বেশিরভাগ ওষুধ শরীরের বিশেষ (যৌন) সমস্যা ঘিরে। নিরীহ, বিশেষ করে মানুষের অসেচতনতার সুযোগে প্রাণঘাতী ঐসব ওষুধ খাবার জন্য দেওয়া হয়। ঐ ওষুধ সাময়িক কিছুটা কাজ করলেও নীরবেই শরীরে বড় ধরনের ক্ষতি করে। লিভার, কিডনি, ফুসফুস, যকৃত্র দুর্বল হতে থাকে। শরীরে পানি জমতে থাকে। কোম্পানিগুলো ওষুধ তৈরি থেকে বাজারজাতকরণে কোনো নিয়মই মানে না। ইউনানী ও আয়ুর্বেদিক ওষুধ সেবনকারী অনেক ভুক্তভোগী এমনটি দাবি করেছেন।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, ফুলবাড়ীয়ার রাজা গেট রাজ, সাভারের বোটানিক ল্যাবরেটরিজ ইউনানী, নতুনপাড়া হেমায়েতপুর সাভার এলাকার গুডলাইফ ল্যাবরেটরিজ (আয়ু), রাজফুলবাড়ি সাভার ঢাকার গুড হেলথ ল্যাবরেটরিজ (ইউনানী), জামুর মুসলিম পাড়া হেমায়েতপুর সাভার এলাকার জেনিয়াল ইউনানী ল্যাবরেটরিজ, প্লট নম্বর-এস-৩৫, বিসিক শিল্প এলাকা রহিতপুর কেরাণীগঞ্জ ঢাকার হ্যাপি ল্যাবরেটরিজ এবং ইকুরিয়া পশ্চিম কেরাণীগঞ্জ ঢাকার ডেলকো ল্যাবরেটরিজ (ইউনানী) নামক ওষুধ কোম্পানির তৈরি করা বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্যবর্ধক ভিটামিন, যৌন উত্তেজক সামগ্রী, ব্যথানাশক ওষুধ (সিরাপ ট্যাবলেট, ক্যাপসুল, সিরাপ, হালুয়া এবং ওয়েটমেন্টে বা বিশেষ অঙ্গের তৈল) ব্যবহার ও সেবনকারীরা নানারকম উপসর্গে ভুগছেন। রাজধানীসহ সারাদেশের পাইকারি ও খুচরা বাজারে প্রতিনিয়ত বিক্রি হচ্ছে এসব নামমাত্র কোম্পানির ওষুধ।
বোটানিক ল্যাবরেটরিজ (ইউনানি) সাভার:
এই কোম্পানির উৎপাদন লাইসেন্স নম্বর-ইউ-২৭৩। কোম্পানিটি গ্রো-ভিট (আরক লাহসুন) নামক ৪৫০ মিলি সিরাপ উৎপাদন ও বাজারজাত করছে, যার কার্যকারিতা সাধারণ দুর্বলতা, ক্ষুধামন্দা, আহারে অরুচি, স্নায়ুবিক দুর্বলতা শীতকাতরতা বহুমুত্র ও বায়ু সঞ্চার, এর ডি.এ.আর নম্বর -২৭৩-এ-৬২, ব্যাচ নম্বর-৩৪, উৎপাদন তারিখ-সেপ্টেম্বর-২০২৩, মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ সেপ্টেম্বর ২০২৫, মূল্য-৪০০ টাকা। ডেইলি-ভিটা (শরবত আনার) ৪৫০ মিলি সিরাপ, এর কার্যকারিতা রুচিবর্ধক, পুষ্টিবর্ধক, সাধারণ দুর্বলতা প্রমশক, ভিটামিন-এ ও ভিটামিন-সি এর অভাব ও রক্ত স্বল্পতায় কার্যকর, এর ডি.এ.আর নম্বর ইউ-১২-এ-০৫৯, ব্যাচ নম্বর-৪০, উৎপাদন তারিখ- অক্টোবর-২০২৩, মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ- অক্টোবর-২০২৫, মূল্য-৩৬০ টাকা।
এছাড়াও উক্ত ডেইলি ভিটা নামক ভিটামিন ওষুধের মোড়কে (মার্কেটের বাই জনকল্যাণ ডিসট্রিবিউশন সাভার ঢাকা) মুদ্রিত আছে। ঔষধ অধিদফতর থেকে অনুমোদিত কোনো কোম্পানির ওষুধের মোড়কে অন্য কোনো বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির নাম মুদ্রণ করতে হলে ঔষধ প্রশাসন অধিদফতর থেকে অবশ্যই অনুমোদন নিতে হবে। এক্ষেত্রে আলোচিত বোটানিক ল্যাবরেটরিজ কর্তৃপক্ষ কোনো অনুমোদনই নেয়নি।
কি আদৌ ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরের অনুমোদন নিয়েছেন?
পিউভিট (শরবত ছেহাত আফজা) ৪৫০ মিলি সিরাপ এর কার্যকারিতা সাধারণ বলকারক, স্বাস্থ্যবর্ধক ও পরিপাকতন্ত্রের শক্তিবর্ধক, এর ডি.এ.আর নম্বর -ইউ-১২-এ-০৫১, ব্যাচ নম্বর -৪২, উৎপাদন তারিখ সেপ্টেম্বর -২০২৩, মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ সেপ্টেম্বর-২০২৫ এবং মূল্য- ৩৬০ টাকা। আনার দানা (হাব্বে য়ারকান) ৩০টি ট্যাবলেট পটে বাজারজাত করছে। এর কার্যকারিতা জন্ডিস, নারীর প্রতিবন্ধকতা, আহারে অরুচি অসাধারণ দুর্বলতা পিণ্ড বিস্মরণ, যকৃতে দুর্বলতা ও যকৃত প্রদাহে কার্যকর, এর ডি. এ. আর নম্বর-ইউ -এ-১৫, ব্যাচ নাম্বার অস্পষ্ট, উৎপাদন তারিখ-সেপ্টেম্বর-২০২৩, মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ সেপ্টেম্বর-২০২৫, মূল্য ৩৬০ টাকা। বি-ট্যাব (হাব্বে কাবেদ নৌশদনী) ৩০টি ট্যাবলেট এর পট, এর কার্যকারিতা, পাকস্থলী দুর্বলতা, হজমকারী, শক্তিবর্ধক, যকৃত প্রদাহে, ক্ষুধামন্দা ও রুচি বৃদ্ধিকারক, এর ডি.এ.আর নম্বর- ইউ-১২-এ -০১৭, ব্যাচ নম্বর -৪৯, উৎপাদেনর তারিখ- আগস্ট- ২০২৩, মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ- আগস্ট-২০২৫, মূল্য ৩৫০ টাকা। হেলফিট (হাব্বে হেলতীত) ৩০টি ট্যাবলেট এর পট, এর কার্যকারিতা রুচি বর্ধক ও হজমিকারক, ডিএআর নম্বর-ইউ-১০-এ-০২৫, ব্যাচ নম্বর-২৪, উৎপাদন তারিখ- মার্চ-২০২৩, মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ মার্চ-২০২৫, মূল্য ৩৮০ টাকা।
ঔষধ শিল্পের সঙ্গে জড়িত এক সূত্র জানায়, ইউনানী এবং আয়ুর্বেদিক ওষুধ কোম্পানির মধ্যে শতাধিক কোম্পানির ব্যবসা একাই বোটানিক ল্যাবরেটরিজ ইউনানির মালিক বিপ্লব করছেন, বোটানিক ল্যাবরেটরি ইউনানীর ওষুধ কম মূল্যে বিক্রি করায় বোটানিকের ওষুধ রাজধানীসহ দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে অনেক বেশি পরিমাণে বিক্রি হচ্ছে। ৩৫০ ও ৪০০ টাকার ওষুধ/// ৫০ থেকে ৬০ টাকার মধ্যে বিক্রি করায় বোটানিক ল্যাবরেটরিজের ওষুধ বাজারে প্রায় অপ্রতিরোধ্য হয়ে পড়েছে। দেশের স্বনামধন্য ওষুধ ব্যবসায়ীদের মধ্যে রীতিমতো আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে বোটানিক ল্যাবরেটরিজের ওষুধ।
গুড হেলথ ল্যাবরেটরীজ ইউনানী
রাকফুলবাড়ি, সাভার ঢাকা এর উৎপাদন লাইসেন্স নম্বর -ইউ-১৯৭, উক্ত কোম্পানির ৫৩ ওষুধের রেকর্ড ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরের ওয়েব সাইটে পাওয়া গেছে। স্মারক নং ডি.জি.ডি.এ ইউনানী ১৪৭/০৯/২৫৮, তারিখ- ১৫/০৯/২০১৯ মোতাবেক প্রতিষ্ঠানের কারখানা, (০১) হাব্বে হায়াতিন মুরাকাব (ক্যাপসুল) বাণিজ্যিক নাম লুমাটন, (০২) হ্যাকো হায়াতিন মুরাকাব জওয়াহারদাত (ক্যাপসুল) বাণিজ্যিক নাম জিএইচ-ভিট, (০৩) ইভেনিং পিমরোজ (ক্যাপসুল) বাণিজ্যিক নাম ইপিওজি, (০৪) আরব আজিব (তরল) বাণিজ্যিক নাম জিএইচ-২০, ০৬ মরহুম আজিম (মলম) বাণিজ্যিক নাম-টাররাসিল (০৬) এই ছয়টি পদের বাজারজাতকরণ স্থগিত করা হলো।
সাবেক ডিজি মেজর জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমানের নির্দেশে ওষুধগুলো বিক্রি বাজারজাত সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। গুড হেল্থ ল্যাবরেটরিজ (ইউনানি) এর মালিক আবু সালেহ মুসার আরেকটি কোম্পানি রয়েছে, যার নাম গুড লাইফ আয়ুর্বেদিক ল্যাবরেটরিজ। এটি নতুন পাড়া হেমায়েতপুর সাভার, উৎপাদন লাইসেন্স নম্বর নং-আয়ু-০৪৪ এবং গুড হেলথ লিমিটেড ইউনানী এই দুটি কোম্পানির ওষুধ বর্তমানে বাজারে খুব চলছে।
পিউমিন মাল্টি ভিটামিন ও মাল্টি মিনারেল সিরাপ ৪৫০ মিঃ, ডি এ আর নং-আয়ু-০৫২-এ-০২৩, ভেনাপ্রো ৪৫০ মিঃ ডি এ আর নং-ইউ-১৪৭-এ-০১৭, এলভা ৪৫০ মিঃ ডি এ আর নং-আয়ু-০৫২-এ-০৪, জিংকোমিক্স ৪৫০ মিঃ, আয়ু- ০৫২-এ-০২২, ইকোরেক্স ৪৫০ মিঃ ভি এ আর নং -আয়ু-০৫২-এ-০৩২, এ সমস্ত প্রোডাক্টে কালার ফ্লেভার ও অতিরিক্ত কেমিক্যাল ব্যবহার করে ঔষধ তৈরি করছে। এসব ওষুধ সেবন করে মানুষের কোন প্রকার উপকার তো হয় না বরং এসব ঔষধ সেবনের ফলে নানারকম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার শিকার হচ্ছে জনসাধারণ।
জেনিয়াল ইউনানি ল্যাবরেটরিজ‍ হেমায়েতপুর সাভার:
জেনিয়াল ইউনি ল্যাবরেটরিজের উৎপাদন লাইসেন্স নম্বর-২১৭, উক্ত কোম্পানির ৭৭টি ওষুধের রেকর্ড ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরের ওয়েবসাইটে পাওয়া গেছে। জেনিয়াল ইউনানি ল্যাবরেটরিজের উৎপাদিত সকল ওষুধের মান নিম্নমানের। এসব ওষুধ তৈরির সময় সম্পূর্ণ কালার ফ্লেভার ও কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয়। ফলে এসব ওষুধ সেবনে দেহের কোনো উপকারে আসে না। উপরন্ত বিভিন্ন প্রকার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার শিকার হয়ে সাধারণ জনগণকে মোটা অংকের অর্থ গচ্চা দিতে হয়। এই কোম্পানির উৎপাদিত ভিটামিন যৌন শক্তিবর্ধক ট্যাবলেট, ক্যাপসুল, সিরাপ, ব্যথার ট্যাবলেট, ক্যাপসুল সিরাপ ছাড়াও বিভিন্ন প্রকার ভিটামিন ট্যাবলেট-সিরাপ উৎপাদনের সময় বাংলাদেশ জাতীয় ইউনানী ফর্মুলারির নিয়ম-কানুন মানা হয় না বলে অভিযোগ উঠেছে।
এর মধ্যে মেলটোন ৪৫০ মিলি সিরাফ, হিমোজেন ক্ষুধা বর্ধক ও রক্ত বর্ধক ৪৫০মিলি সিরাপ, গাওয়াজেন ৪৫০ মিলি সিরাফ, লুবুব কবীর ১০০ গ্ৰাম হালুয়া, ভিগোরি ৪৫০ মিলি শক্তিবর্ধক সিরাপ, জেনিয়াল তুলসি ১০০ মিলি (অ্যালকোহল মুক্ত) সিরাপ, লিমোজেন ৪৫০ মিলি সাধারণ দুর্বলতা ও ক্ষুধাবর্ধক সিরাপ, জি-ট্যাব ন্যাচারাল ক্যালসিয়াম ৩০টি ট্যাবলেট এর পট, রিউপেন (হাব্বে সুরঞ্জন) বাত-বেদনায় দ্রুত কার্যকরী বলে দাবি করা হয়, মা’জুন লানা নামক ১০০ গ্রাম, হালওয়া, গার্লজেন ৫০টি ক্যাপসুল, অ্যাজমাটন ৫০টি ট্যাবলেট, মা-জুন মুগাল্লিয, জেনঅয়েল ২০ গ্রাম (বিশেষ অঙ্গের) মালিশ, আমরোজেন (শরবত আমরুদ) ৪৫০ মিলি সিরাপ উল্লেখযোগ্য।
হ্যাপি ল্যাবরেটরিজ ইউনানী:
প্লট নম্বর-এস-৩৫, বিসিক শিল্প এলাকা রুহিতপুর কেরাণীগঞ্জ ঢাকা। ঐ কোম্পানির উৎপাদন লাইসেন্স নং-ইউ-০৩৯। হ্যাপি ল্যাবরেটরিজ (ইউনানি) এর ১৬টি ওষুধের রেকর্ড ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরের ওয়েবসাইটে পাওয়া গেছে। মজার ব্যাপার হলো প্রথমে কুরুছ রেহমিন ক্যাপসুলের নাম দিয়ে শুরু, যার ডি.এ.আর নম্বর ইউ-৩৯-এ-০৩৯ থেকে শুরু করে হ্যাপিলোবা (জিঙ্গোবিলোবা) ক্যাপসুল ডি.এ.আর নম্বর-ইউ-৩৯-এ-৪৫ নম্বর পর্যন্ত ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরের ওয়েবসাইটে রেকর্ড থাকলেও ১ নম্বর থেকে ৩০ নম্বর এর কোনো প্রকার রেকর্ড ওয়েবসাইটে পাওয়া যায়নি। তবে হ্যাপি-জেড ৪৫০মিঃ লিঃ সিরাফ ডি,এ, রেজি নং: ৩৯-এ-০৪৪ ব্যাচ নম্বর-১৭, মূল্য ৪০০ টাকা, হ্যাপিটন ন্যাচারাল ভিটামিন সিরাপ ৪৫০ মিঃলিঃ ডি এ আর নং-ইউ-৭১-এ-১২, ব্যাচঃ নং-১৭, মূল্য ৩০০ টাকা। এছাড়াও বিভিন্ন ওষুধ তৈরি করে বাজারজাত করা হচ্ছে। তার কোম্পানির হাকিম কবিরাজ নামমাত্র রেখেছেন। কিন্তু কারখানায় গেলে খুঁজে পাওয়া যাবে না। এছাড়া গাছ-গাছড়ার বদলে মিটফোর্ড থেকে খোলা বাজারের কেমিক্যাল কিনে ওষুধ তৈরিতে ব্যবহার করা হচ্ছে।
ডেলকো ফার্মা (ইউনানী):
ডেলকো ফার্মা ইউনানি ইকুরিয়া পশ্চিম কেরাণীগঞ্জ ঢাকা, এর উৎপাদন লাইসেন্স নম্বর ইউ-০৮৮। ঐ কোম্পানির ২২টি ওষুধের রেকর্ড ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরের ওয়েবসাইটে পাওয়া গেছে। এর মধ্যে, মলটেক্সো নামক ক্ষুধামন্দা ও রক্ত উৎপাদক ৪৫০ মিলি সিরাপ উৎপাদন ও বাজারজাত করছে, যার ডি.এ.রেজি নম্বর ইউ-১১৬-এ-০০১, ব্যাচ নম্বর-০৮, উৎপাদন তারিখ-০৯/২৩ মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ-০৮/২৫, মূল্য ৩৬০ টাকা। মলটেক্সো নামক সিরাপ তৈরির সময় ক্ষতিকারক কালার ফ্লেভার ও কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয়েছে।
বোটানিক ল্যাবরেটরিজ (ইউ) এর নথি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা পরিচালক মো. আশরাফ হোসেন, উপপরিচালক আব্দুল মালেক, সহকারী পরিচালক ফখরুল ইসলাম। জেনিয়াল ল্যাবরেটরিজ ইউনানীর নথি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা পরিচালক মোহাম্মদ আশরাফ হোসেন, উপপরিচালক আব্দুল মালেক, সহকারী পরিচালক ইকবাল হোসেন। হ্যাপি ল্যাবরেটরিজ ইউনানীর নথি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা পরিচালক মুস্তাফিজুর রহমান, উপপরিচালক আব্দুল মালেক, সহকারী পরিচালক ইকবাল হোসেন। গুড হেলথ ল্যাবরেটরিজ ইউনানীর নথি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা পরিচালক মুস্তাফিজুর রহমান, উপপরিচালক আব্দুল মালেক, সহকারী পরিচালক ইকবাল হোসেন। গুড লাইফ (আয়ু) এর নথি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা পরিচালক মুস্তাফিজুর রহমান, উপপরিচালক, আব্দুল মালেক এবং ডেলকো ল্যাবরেটরিজ ইউনানীর নথি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা পরিচালক মুস্তাফিজুর রহমান, উপপরিচালক আব্দুল মালেক।

এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে উল্লেখিত ওষুধ কোম্পানির নথি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ফোন করা হয়। কিন্তু মোবাইল ফোন রিসিভ না করায় তাদের বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।