ঢাকাশনিবার , ২৩ মার্চ ২০২৪
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. কৃষি ও অন্যান্য
  5. খেলাধুলা
  6. গল্প ও কবিতা
  7. জাতীয়
  8. তথ্যপ্রযুক্তি
  9. দেশজুড়ে
  10. ধর্ম ও জীবন
  11. প্রবাস
  12. বানিজ্য
  13. বিনোদন
  14. বিশেষ প্রতিবেদন
  15. মুক্তমত
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ইউনানী ও আয়ুর্বেদিক ঔষধে বিরূপ প্রতিক্রিয়ায় মানবদেহে বাসা বাধছে প্রাণঘাতী অসুখ

এস এম বদরুল আলম
মার্চ ২৩, ২০২৪ ১০:১১ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ইউনানী ও আয়ুর্বেদিক ঔষধের বিরূপ প্রতিক্রিয়ায় মানবদেহে বাসা বাধছে প্রাণঘাতী অসুখ- এমনই এক চাঞ্চল্যকর তথ্য মিলেছে ইউনানী ও আয়ুর্বেদিক ঔষধ সেবনকারীদের একটি সূত্রে। সূত্রের দাবি, তারা ইউনানী ও আয়ুর্বেদিক ঔষধের বিরূপ প্রতিক্রিয়ার শিকার হয়ে প্রাণঘাতী অসুখে ভুগছেন। ভুক্তভোগী ওই সূত্রটি দাবি করেন যে, রাজা গেট রাজ ফুলবাড়িয়া, সাভারের বোটানিক ল্যাবরেটরীজ ইউনানী, নতুনপাড়া হেমায়েতপুর সাভার এলাকার গুডলাইফ ল্যাবরেটরীজ (আয়ু), রাজফুলবাড়ি সাভার ঢাকার গুড হেল্থ ল্যাবরেটরীজ (ইউনানি), জামুর মুসলিম পাড়া হেমায়েতপুর সাভার এলাকার জেনিয়াল ইউনানী ল্যাবরেটরীজ, প্লট নম্বর-এস-৩৫, বিসিক শিল্প এলাকা রহিতপুর কেরানীগঞ্জ ঢাকার হ্যাপি ল্যাবরেটরীজ এবং ইকুরিয়া পশ্চিম কেরানীগঞ্জ ঢাকার ডেলকো ল্যাবরেটরীজ (ইউনানি) নামক ঔষধ কোম্পানির তৈরি করা বিভিন্ন প্রকার স্বাস্থ্য বর্ধক ভিটামিন, যৌন উত্তেজক সামগ্রী, ব্যথানাশক ঔষধ (সিরাপ ট্যাবলেট, ক্যাপসুল, সিরাপ, হালুয়া এবং ওয়েটমেন্টে বা বিশেষ অঙ্গের তৈল) ব্যবহার ও সেবনকারীরা নানারকম উপসর্গে ভুগছেন।
উল্লেখিত ঔষধ কোম্পানির উৎপাদিত ঔষধ দুর্দান্ত প্রতাপে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে রাজধানীসহ সারাদেশের পাইকারি ও খুচরা ঔষধের বাজার। রাজা গেট রাজ ফুলবাড়িয়া, সাভারের বোটানিক ল্যাবরেটরীজ ইউনানী, নতুনপাড়া হেমায়েতপুর সাভার এলাকার গুডলাইফ ল্যাবরেটরীজ (আয়ু), রাজ ফুলবাড়ী সাভার ঢাকার গুড হেল্থ ল্যাবরেটরীজ (ইউনানি), জামুর মুসলিম পাড়া হেমায়েতপুর সাভার এলাকার জেনিয়াল ইউনানি ল্যাবরেটরীজ, প্লট নম্বর-এস-৩৫, বিসিক শিল্প এলাকা রহিতপুর কেরানীগঞ্জ ঢাকার হ্যাপি ল্যাবরেটরীজ এবং ইকুরিয়া পশ্চিম কেরানীগঞ্জ ঢাকার ডেলকো ল্যাবরেটরীজ (ইউনানি) এসকল ঔষধ কোম্পানির মালিক পক্ষের জনস্বাস্থ্য বিরোধী কর্মকাণ্ড নিয়ে আজ আমাদের এই বিশেষ প্রতিবেদন।
বোটানিক ল্যাবরেটরীজ (ইউনানি) সাভার: এর উৎপাদন লাইসেন্স নম্বর-ইউ-২৭৩। উক্ত কোম্পানি গ্রো-ভিট (আরক লাহসুন) নামক ৪৫০ মিলি সিরাপ উৎপাদন ও বাজারজাত করছে যার কার্যকারিতা সাধারণ দুর্বলতা, ক্ষুধামন্দা, আহারে অরুচি, স্নায়ুবিক দুর্বলতা শীতকাতরতা বহুমুত্র ও বায়ু সঞ্চার, এর ডি.এ.আর নম্বর -২৭৩-এ-৬২, ব্যাচ নম্বর-৩৪, উৎপাদন তারিখ-সেপ্টেম্বর-২০২৩, মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ- সেপ্টেম্বর-২০২৫, মূল্য-৪০০ টাকা। ডেইলি-ভিটা (শরবত আনার) ৪৫০ মিলি সিরাপ, এর কার্যকারিতা রুচিবর্ধক, পুষ্টি বর্ধক, সাধারণ দুর্বলতা প্রমশক, ভিটামিন-এ ও ভিটামিন-সি এর অভাব ও রক্ত স্বল্পতায় কার্যকর, এর ডি.এ.আর নম্বর ইউ-১২-এ-০৫৯, ব্যাচ নম্বর-৪০, উৎপাদন তারিখ- অক্টোবর-২০২৩, মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ- অক্টোবর-২০২৫, মূল্য-৩৬০ টাকা। এছাড়াও উক্ত ডেইলি ভিটা নামক ভিটামিন ঔষধ এর মোড়কে (মার্কেটের বাই জনকল্যাণ ডিসট্রিবিউশন সাভার ঢাকা) মুদ্রিত আছে। ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের নিয়ম অনুসারে ঔষধ অধিদপ্তর থেকে অনুমোদিত কোন কোম্পানির ঔষধের মোড়কে অন্য কোন বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির নাম মুদ্রণ করতে হলে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর থেকে অবশ্যই অনুমোদন নিতে হবে। এক্ষেত্রে আলোচিত ও সমালোচিত তথা বিতর্কিত ইউনানী ঔষধ কোম্পানি বোটানিক ল্যাবরেটরীজ কর্তৃপক্ষ কি আদৌ ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের অনুমোদন নিয়েছেন?
পিউভিট (শরবত ছেহাত আফজা) ৪৫০ মিলি সিরাপ এর কার্যকারিতা সাধারণ বলকারক, স্বাস্থ্যবর্ধক ও পরিপাকতন্ত্রের শক্তিবর্ধক, এর ডি.এ.আর নম্বর -ইউ-১২-এ-০৫১, ব্যাচ নাম্বার -৪২, উৎপাদন তারিখ সেপ্টেম্বর -২০২৩, মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ সেপ্টেম্বর- ২০২৫ এবং মূল্য- ৩৬০ টাকা। আনার দানা (হাব্বে য়ারকান) ৩০টি ট্যাবলেট পটে বাজারজাত করছে। এর কার্যকারিতা জন্ডিস, নারীর প্রতিবন্ধকতা, আহারে অরুচি অসাধারণ দুর্বলতা পিণ্ড বিস্মরণ, যকৃতে দুর্বলতা ও যকৃত প্রদাহে কার্যকর, এর ডি. এ. আর নম্বর-ইউ -এ-১৫, ব্যাচ নাম্বার অস্পষ্ট, উৎপাদন তারিখ-সেপ্টেম্বর-২০২৩, মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ সেপ্টেম্বর-২০২৫, মূল্য ৩৬০ টাকা। বি-ট্যাব (হাব্বে কাবেদ নৌশদনী) ৩০টি ট্যাবলেট এর পট, এর কার্যকারিতা, পাকস্থলী দুর্বলতা, হজমকারী, শক্তিবর্ধক, যকৃত প্রদাহে, ক্ষুধামন্দা ও রুচি বৃদ্ধিকারক, এর ডি.এ.আর নম্বর- ইউ-১২-এ -০১৭, ব্যাচ নম্বর -৪৯, উৎপাদেনর তারিখ- আগস্ট- ২০২৩, মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ- আগস্ট-২০২৫, মূল্য ৩৫০ টাকা। হেলফিট (হাব্বে হেলতীত) ৩০টি ট্যাবলেট এর পট, এর কার্যকারিতা রুচি বর্ধক ও হজমিকারক, ডিএআর নম্বর-ইউ-১০-এ-০২৫, ব্যাচ নম্বর-২৪, উৎপাদন তারিখ- মার্চ-২০২৩, মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ মার্চ-২০২৫, মূল্য ৩৮০ টাকা।
ঔষধ শিল্পের সাথে জড়িত এমন একটি সূত্র জানায়, ইউনানী এবং আয়ুর্বেদিক ঔষধ কোম্পানির মধ্যে প্রায় শতাধিক কোম্পানির ব্যবসা একাই বোটানিক ল্যাবরেটরীজ ইউনানির মালিক বিপ্লব করছে, বোটানিক ল্যাবরেটরী ইউনানীর ঔষধ কম মূল্যে বিক্রি করায় বোটানিকের ঔষধ রাজধানীসহ দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে মুড়িমুড়কির মত বিক্রি হচ্ছে। ৩৫০ ও ৪০০ টাকার রীতিমত ৫০ থেকে ৬০ টাকার মধ্যে বিক্রি করায় বোটানিক ল্যাবরেটরীজের ঔষধ বাজারে প্রায় অপ্রতিরোধ্য হয়ে পড়েছে। দেশের স্বনামধন্য ঔষধ ব্যবসায়ীদের মধ্যে রীতিমতো আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে বোটানিক ল্যাবরেটরীজের ঔষধ।
গুড হেলথ ল্যাবরেটরীজ ইউনানী: রাকফুলবাড়ি, সাভার ঢাকা এর উৎপাদন লাইসেন্স নম্বর -ইউ-১৯৭, উক্ত কোম্পানির ৫৩ ঔষধের রেকর্ড ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের ওয়েব সাইটে পাওয়া গেছে। স্মারক নং ডি.জি.ডি.এ ইউনানী ১৪৭/০৯/২৫৮, তারিখ- ১৫/০৯/২০১৯ মোতাবেক প্রতিষ্ঠানের কারখানা, (০১) হাব্বে হায়াতীন মুরাকাব (ক্যাপসুল) বাণিজ্যিক নাম লুমাটন, (০২) হ্যাকো হায়াতীন মুরাকাব জওয়াহারদাত (ক্যাপসুল) বাণিজ্যিক নাম জিএইচ-ভিট, (০৩) ইভেনিং পিমরোজ (ক্যাপসুল) বাণিজ্যিক নাম ইপিওজি, (০৪) আরব আজীব (তরল) বাণিজ্যিক নাম জিএইচ-২০, ০৬ মরহুম আজিম (মলম) বাণিজ্যিক নাম-টাররাসিল (০৬) এই ছয়টি পদের বাজারজাতকরণ স্থগিত করা হলো । উক্ত প্রোডাক্টগুলি সাবেক ডিজি মেজর জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান নির্দেশে ওষুধগুলো বিক্রি বাজারজাত সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছিলো বলে নির্দেশনা জারি করেছিলেন।
গুড হেল্থ ল্যাবরেটরীজ (ইউনানি) এর মালিক আবু সালেহ মুসার আরেকটি কোম্পানি রয়েছে, যার নাম গুড লাইফ আয়ুর্বেদিক ল্যাবরেটরীজ নতুন পাড়া হেমায়েতপুর সাভার, উৎপাদন লাইসেন্স নম্বর নং-আয়ু-০৪৪ এবং গুড হেলথ লিঃ ইউনানী এই দুটি কোম্পানির ঔষধ বর্তমানে বাজারে মুড়িমুড়কির মত চলছে।
পিউমিন মাল্টি ভিটামিন ও মাল্টি মিনারেল সিরাপ ৪৫০মিঃ, ডি এ আর নং-আয়ু-০৫২-এ-০২৩, ভেনাপ্রো ৪৫০ মিঃ ডি এ আর নং-ইউ-১৪৭-এ-০১৭, এলভা ৪৫০ মিঃ ডি এ আর নং-আয়ু-০৫২-এ-০৪, জিংকোমিক্স ৪৫০ মিঃ, আয়ু- ০৫২-এ-০২২, ইকোরেক্স ৪৫০ মিঃ ভি এ আর নং -আয়ু-০৫২-এ-০৩২, এ সমস্ত প্রোডাক্টে কালার ফ্লেভার ও অতিরিক্ত কেমিক্যাল ব্যবহার করে ঔষধ তৈরি করছে। এসব ওষুধ সেবন করে মানুষের কোন প্রকার উপকার তো হয় না বরং এসব ঔষধ সেবনের ফলে নানারকম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার শিকার হচ্ছে জনসাধারণ।
জেনিয়াল ইউনানি ল্যাবরেটরীজ‍ হেমায়েতপুর সাভার: জেনিয়াল ইউনি ল্যাবরেটরীজ এর উৎপাদন লাইসেন্স নম্বর-২১৭, উক্ত কোম্পানির ৭৭টি ঔষধের রেকর্ড ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে পাওয়া গেছে। জেনিয়াল ইউনানি ল্যাবরেটরীজ এর উৎপাদিত সকল ঔষধের মান অত্যন্ত নিম্নমানের এসকল ঔষধ তৈরি কালে সম্পূর্ণ কালার ফ্লেভার ও কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয় ফলে এসব ঔষধ সেবনে দেহের কোন উপকারে আসে না উপরন্ত বিভিন্ন প্রকার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার শিকার হয়ে সাধারণ জনগণকে মোটা অংকের অর্থ গচ্চা দিতে হয়। উক্ত কোম্পানির উৎপাদিত ভিটামিন যৌন শক্তিবর্ধক ট্যাবলেট ক্যাপসুল সিরাপ ব্যথার আসুক ট্যাবলেট ক্যাপসুল সিরাপ ছাড়াও বিভিন্ন প্রকার ভিটামিন ট্যাবলেট ক্যাপসুল সিরাপ উৎপাদন কালে বাংলাদেশ জাতীয় ইউনানী ইউনানী ফর্মুলারির নিয়মকানুন মানা হয় না বলে অভিযোগ উঠেছে। এর মধ্যে মেলটোন ৪৫০ মিলি সিরাফ, হিমোজেন ক্ষুধা বর্ধক ও রক্ত বর্ধক ৪৫০মিলি সিরাপ, গাওয়াজেন ৪৫০মিলি সিরাফ, লুবুব কবীর ১০০ গ্ৰাম হালুয়া, ভিগোরী ৪৫০মিলি শক্তি বর্ধক সিরাপ, জেনিয়াল তুলসি ১০০ মিলি (এ্যালকোহল মুক্ত) সিরাপ, লিমোজেন ৪৫০ মিলি সাধারণ দুর্বলতা ও ক্ষুধা বর্ধক সিরাপ, জি-ট্যাব ন্যাচারাল ক্যালসিয়াম ৩০টি ট্যাবলেট এর পট , রিউপেন (হাব্বে সুরঞ্জন) বাত-বেদনায় দ্রুত কার্যকরী বলে দাবি করা হয়, মা’জুন লানা নামক ১০০ গ্রাম, হালওয়া, গার্লজেন ৫০টি ক্যাপসুল, এ্যাজমাটন ৫০টি ট্যাবলেট, মা-জুন মুগাল্লিয, জেনঅয়েল ২০ গ্রাম ( বিশেষ অঙ্গের) মালিশ, আমরোজেন (শরবত আমরুদ) ৪৫০ মিলি সিরাপ উল্লেখযোগ্য।
হ্যাপি ল্যাবরেটরীজ ইউনানী: প্লট নম্বর-এস-৩৫, বিসিক শিল্প এলাকা রুহিতপুর কেরানীগঞ্জ ঢাকা। উক্ত কোম্পানির উৎপাদন লাইসেন্স নং-ইউ-০৩৯। হ্যাপি ল্যাবরেটরীজ (ইউনানি) এর ১৬টি ঔষধের রেকর্ড ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে পাওয়া গেছে। তবে মজার ব্যাপার হলো প্রথমে কুরুছ রেহমিন ক্যাপসুল এর নাম দিয়ে শুরু যার ডি.এ.আর নম্বর ইউ-৩৯-এ-০৩৯ থেকে শুরু করে হ্যাপিলোবা (জিঙ্গোবিলোবা) ক্যাপসুল ডি.এ.আর নম্বর-ইউ-৩৯-এ-৪৫ নম্বর পর্যন্ত ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে রেকর্ড থাকলেও ১ নম্বর থেকে ৩০ নম্বর এর কোন প্রকার রেকর্ড ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে পাওয়া যায়নি।
তবে হ্যাপি-জেড ৪৫০মিঃ লিঃ সিরাফ ডি,এ, রেজি নং: ৩৯-এ-০৪৪ ব্যাচ নম্বর-১৭, মূল্য ৪০০ টাকা, হ্যাপিটন ন্যাচারাল ভিটামিন সিরাপ ৪৫০ মিঃলিঃ ডি এ আর নং-ইউ-৭১-এ-১২, ব্যাচঃ নং-১৭, মূল্য ৩০০ টাকা এছাড়াও বিভিন্ন ওষুধ তৈরি করে বাজারজাত করছে। তার কোম্পানির হাকিম কবিরাজ নামমাত্র রেখেছেন কারখানায় গেলে খুঁজে পাওয়া যাবে না। এছাড়া গাছ গাছড়ার বদলে মিটফোর থেকে খোলা বাজারের কেমিক্যাল কিনে ঔষধ তৈরিতে ব্যবহার করছে বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে।
ডেলকো ফার্মা (ইউনানী): ডেলকো ফার্মা ইউনানি ইকুরিয়া পশ্চিম কেরানীগঞ্জ ঢাকা, এর উৎপাদন লাইসেন্স নম্বর ইউ-০৮৮। উক্ত কোম্পানির ২২টি ঔষধের রেকর্ড ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে পাওয়া গেছে। এর মধ্যে, মলটেক্সো নামক ক্ষুধামান্দ্য ও রক্ত উৎপাদক ৪৫০ মিলি সিরাপ উৎপাদন ও বাজারজাত করছে যার ডি.এ.রেজি নম্বর ইউ-১১৬-এ-০০১, ব্যাচ নম্বর-০৮, উৎপাদন তারিখ-০৯/২৩ মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ-০৮/২৫, মূল্য ৩৬০ টাকা। মলটেক্সো নামক সিরাপ তৈরি কালে ক্ষতিকারক কালার ফ্লেভার ও কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
বোটানিক ল্যাবরেটরীজ (ইউ) এট নথি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা পরিচালক মো. আশরাফ হোসেন, উপপরিচালক আব্দুল মালেক, সহকারী পরিচালক ফখরুল ইসলাম। জেনিয়াল ল্যাবরেটরীজ ইউনানী এর নথি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা পরিচালক মোহাম্মদ আশরাফ হোসেন, উপপরিচালক আব্দুল মালেক, সহকারী পরিচালক ইকবাল হোসেন। হ্যাপি ল্যাবরেটরীজ ইউনানী এর নথি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা পরিচালক মুস্তাফিজুর রহমান, উপপরিচালক আব্দুল মালেক, সহকারী পরিচালক ইকবাল হোসেন। গুড হেলথ ল্যাবরেটরজ ইউনানী এর নথি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা পরিচালক মুস্তাফিজুর রহমান, উপপরিচালক আব্দুল মালেক, সহকারী পরিচালক ইকবাল হোসেন। গুড লাইফ (আয়ু) এর নথি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা পরিচালক মুস্তাফিজুর রহমান, উপপরিচালক, আব্দুল মালেক এবং ডেলকো ল্যাবরেটরীজ ইউনানী এর নথি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা পরিচালক মুস্তাফিজুর রহমান, উপপরিচালক আব্দুল মালেক।
এছাড়াও নারায়নগঞ্জ ও সাভার এলাকার স্থানীয় কর্মকর্তারা তো আছেন-ই। এই সকল কর্মকর্তা ও উল্লেখিত ঔষধ কোম্পানির মালিক পক্ষের বক্তব্য জানতে সবার মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে উল্লেখিত ঔষধ কোম্পানির মালিক পক্ষ ও উল্লেখিত কোম্পানির নথি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা মোবাইল ফোন রিসিভ না করায় তাদের কোন প্রকার বক্তব্য প্রকাশিত হলো না।