এক কাপ চা মুহুর্তের মধ্যে দেহ ও মনকে চাঙ্গা করে তোলে। এটাকে শুধু পানীয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা যাবে না। এটি সর্বপ্রথম ব্যবহার করা হতো ওষুধ হিসেবে তারপর পানীয়। বর্তমানে পানীয় ছাড়াও এটি ত্বক ও চুলের যত্নে ব্যবহার করা হয়।
চা তৈরি করে টি ব্যাগ ফেলে না দিয়ে ফ্রিজে রেখে দিন। বাইরে থেকে ফিরে এসে ফ্রিজে রাখা ঠাণ্ডা টি ব্যাগ চোখের উপর ১০ থেকে ১৫ মিনিট ধরে রাখলে চোখের ক্লান্তি দূর হবে। চোখের নিচের কালো দাগ এবং চোখের ফোলাভাব দূর করতেও গ্রিন টির তুলনা নেই।
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ত্বক কুচকে যায়। ত্বকের কুচকানো ভাব দূর করতে গ্রিন টির স্কার্ব ব্যবহার করতে পারেন। গ্রিন টি দিয়ে ম্যাসাজ করলে ত্বকের হোয়াইট হেডস এবং ব্লাক হেডস দূর হবে এবং প্রাকৃতিকভাবে উজ্জ্বল ও মসৃন হবে। একইসঙ্গে বন্ধ থাকা পোরগুলো খুলে দিতে সাহায্য করবে। গ্রিন টির স্কার্ব তৈলাক্ত ত্বকের যত্নে বেশি কার্যকরী।
ফেস মাস্ক হিসেবেও গ্রিন টির তুলনা নেই। গ্রিন টির সঙ্গে মধু ও বেকিং সোডা মিশিয়ে ফেস মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন। এই মাস্কটি ত্বকের রুক্ষতা ও রোদে পোড়া কালো দাগ দূর করে। গ্রিন টিতে থাকা ক্যাফেইন ব্রণ প্রতিরোধ করতেও সাহায্য করে। মশা কামড় দিলে ত্বকে জ্বালাপোড়াভাব সৃষ্টি হয়। কিন্তু আক্রান্ত স্থানে তাৎক্ষনিক ঠাণ্ডা টি ব্যাগ ধরলে জ্বালাপোড়াভাব দূর করে দ্রুত প্রশান্তি এনে দেয়।
শেভ করার পর আফটার শেভ লোশনের পরিবর্তে গ্রিন টি ব্যবহার করতে পারেন। আফটার শেভ লোশনে থাকা রাসায়নিক পদার্থ ত্বকের ক্ষতি করে কিন্তু গ্রিন টি ত্বকের কোনো ক্ষতি করে না বরং ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে দেয়।
গ্রিন টি শুধু ত্বক ভালো রাখে না, এটি চুলকেও সুন্দর করে তোলে। এক কাপ গরম পানিতে ১টি টি ব্যাগ দিয়ে লিকার তৈরি করে ঠাণ্ডা করে চুলের গোড়ায় ১০মিনিট ম্যাসাজ করে শ্যাম্পু করে পরিষ্কার পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। গ্রিন টির অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট চুল পরা বন্ধ করে ঝলমলেভাব এনে দেয়।
যেকোন সুপার শপে পেয়ে যাবেন গ্রিন টি।