ঢাকাবৃহস্পতিবার , ২২ আগস্ট ২০২৪
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. কৃষি ও অন্যান্য
  5. খেলাধুলা
  6. গল্প ও কবিতা
  7. জাতীয়
  8. তথ্যপ্রযুক্তি
  9. দেশজুড়ে
  10. ধর্ম ও জীবন
  11. প্রবাস
  12. বানিজ্য
  13. বিনোদন
  14. বিশেষ প্রতিবেদন
  15. মুক্তমত
আজকের সর্বশেষ সবখবর

৩ ইসির কমিশনারদের ‘ভোটের নামে লুট’ আত্মগোপনে ৩ সিইসি

নিজস্ব প্রতিনিধি
আগস্ট ২২, ২০২৪ ৯:৪৯ অপরাহ্ণ
Link Copied!

শেখহাসিনার নীল নকশায় দেশে পর পর তিনটি জাতীয় নিবার্চন হয়েছে। এসব নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে যায়নি। ২০১৪ সালের ‘ প্রার্থী ও ভোটার বিহীন একতরফা’ নির্বাচন, ২০১৮ সালের দিনের ভোট রাতে সিল মারার এবং চলতি ২০২৪ ডামি প্রার্থীর নির্বাচন বাংলাদেশের গণতন্ত্রে কালো অধ্যায় রচিত হয়েছে। গত ১৬ বছরে প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচনের আয়োজনের দায়িত্ব পালন করা নির্বাচন কমিশনররা এখনো ধরা ছোঁয়ার বাহিরে। হাসিনা রেজিমের পতনের পর তারা পালিয়েছে। আবার এ তিনটি জাতীয় নির্বাচনের আয়োজন করে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করেছে সাবেক প্রধান কমিশনারাসহ সংশিষ্ট্র কর্মর্কতারা। এসব ভোটে বেশি খরচ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পিছনে ব্যয় বেশি দেখানো হয়েছে।দেশের জনগনের ভোটাধিকার কেড়ে নেয়া এসব দায়িত্ব পাপ্ত কর্মকর্তারা অনেকই বিদেশে পালিয়েছে আবার বর্তমান কমিশনার পালানোর পথ খুজছে বলে অভিযোগ উঠেছে।চলতি বছররে দ্বাদশ সংসদের ডামি নির্বাচনের দলবাজ আমলারা হলেন, অশোক কুমার দেবনাথ,ফরহাদ আহম্মদ খান,মো.মনিরুজ্জামান তালুকদার,মো,নাসির উদ্দিন চৌধুরী, উপসচিব (নির্বাচন পরিচালনা-১) এম.মাজহারুল ইসলাম,সিনিয়র সহকারী সচিব মোহাম্মদ মাসুদুল হক এবং সাব্বির আহ্মদসহ শতাধিক কর্মকর্তারা। এদিকে দিকে আওয়ামীলীগ সরকারের তিন মেয়াদে নির্বাচন কমিশন সচিবারয়ে নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তারা ও সংযুক্ত থাকা দলবাজ এবং ভোট চুরি সাথে জড়িত কর্মকর্তাদের পদোন্নতি দেয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে নির্বাচন কমিশনের সচিব শফিউল আজিম।
গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার একটি অপরিহার্য অংশ হচ্ছে নির্বাচন। একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন ক্ষমতাকে বৈধতা দেয়। গ্রহণযোগ্য না হলে সেই ক্ষমতার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। তাই নির্বাচন শুধু আইনি বা সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার বিষয় নয়, এর সঙ্গে ক্ষমতার বৈধতা, গণতন্ত্র, রাজনৈতিক বন্দোবস্ত এ সবকিছুই জড়িত। স্বাধীনতার পর এ পর্যন্ত ১১টি জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয়েছে। এর মধ্যে সাতবার সামরিক শাসনসহ দলীয় সরকার ও চারবার নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হয়েছে। পর পর তিনটি জাতীয় নিবার্চন দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনগুলো করার কারণে গত ১৫ বছর থেকে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। বর্তমান কমিশন বাংলাদেশের কালো অধ্যায় রচিত হয়েছে। গত ২০০৮ সালে নবম নির্বাচনে ১৬৫.৫০ কোটি টাকা, ২০১৪ দশম নির্বাচনে ২৬৪.৬৭ কোটি টাকা,২০১৮ সালের ভোটে ১৪৪৫ কোটি টাকা এবং ২০২৪ সালে ২ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্বাচন করা হয়েছে। ১৯৭৩ সালে প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিশ্চিত ও বিপুল বিজয় সত্ত্বেও নির্বাচন নিয়ে কিছু প্রশ্ন উঠেছিল। বাংলাদেশে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনগুলো নিয়ে সব সময় কমবেশি বিতর্ক তৈরি হয়েছে।২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির ‘একতরফা’ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে একটি ভিন্ন পরিস্থিতি তৈরি হয়। ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের দিনের ভোট রাতে চুরি এবং প্রশ্নবিদ্ধ ছিলো নির্বাচন। চলতি ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ডামি নির্বাচনে মধ্যে আবার আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসেন। ক্ষমতার ৬ মাসের মাথায় আওয়ামীলীগ সরকারে প্রধানমন্ত্রী শেখ পদত্যাগ করে হাসিনা ভারতে পালিয়েছেন। কিন্তু তিনটি জাতীয় নির্বাচনের আয়োজনে কোন খাতে খরচ করা হয়েছে তার বেশিরভাগই ভুয়া বিল তুলে নিয়েছে এ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।গত ২০১৮ সালে একাদশ সংসদ নির্বাচনে ব্যয় হয়েছিল প্রায় ৭০০ কোটি টাকার মতো। এবার বাংলাদেশে ভোটার প্রায় প্রায় ১২ কোটি। এবার সুষ্ঠ এবং অবাধ ভোট করাতে উদ্যোগী বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন। সেখানে নির্বাচনের প্রস্তুতির পাশাপাশি সম্ভাব্য ব্যয়ের হিসাবও তুলে ধরা হয়। বলা হয়, ভোটকর্মীদের জন্য ভাতা, নির্বাচনী সামগ্রীর দামের সঙ্গেই জ্বালানিসহ অন্যান্য ক্ষেত্রেও ব্যয় বাড়ছে। তাই এবার নির্বাচন করতে প্রায় ১৫০০ কোটি টাকা খরচ হবে।
ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেন,ইউনিট অনুযায়ী সম্ভাব্য ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে। সব মিলিয়ে ১৪৪৫ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। এর মধ্যে ৬৫ শতাংশই খরচ হবে ভোটের কাজে থাকা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পিছনে। নির্বাচনী প্রশিক্ষণে খরচ হবে প্রায় ১০০ কোটি টাকা। নির্বাচন পরিচালনায় ব্যয় হবে প্রায় ৩৫ শতাংশ। প্রায় ৮০ হাজার ব্যালট বাক্সসহ নির্বাচনের জন্য ১৩ ধরনের উপকরণ কিনতে হচ্ছে। কিনতে হবে বিভিন্ন ধরনের সিল, স্ট্যাম্প, বিভিন্ন ধরনের ব্যাগ, কাগজ, প্যাড। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার কাজি হাবিবুল আওয়াল এবং অন্য আধিকারিকদের সঙ্গে বসে সম্ভাব্য খরচ নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।বাংলাদেশে প্রথম সংসদ নির্বাচনে খরচ হয়েছিল ৮১.১৬ লাখ টাকা। দ্বিতীয় নির্বাচনে খরচ হয় ৫.৬০ কোটি টাকা। তৃতীয় নির্বাচনে ৫.২৫ কোটি টাকা, চতুর্থ নির্বাচনে ৫.১৬ কোটি টাকা, পঞ্চম নির্বাচনে ২৫.৫৬ কোটি টাকা খরচ হয়। ষষ্ঠ নির্বাচনে খরচ বেড়ে দাঁড়ায় ৬৫ কোটি টাকা। সপ্তম নির্বাচনে ৭১ কোটি টাকা, অষ্টম নির্বাচনে ৯৫ কোটি টাকা, ২০০৮ সালে নবম নির্বাচনে ১৬৫.৫০ কোটি টাকা, ২০১৪ সালে দশম নির্বাচনে ২৬৪.৬৭ কোটি টাকা খরচ হয়।
ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোট গ্রহণের জন্য মাঠ পর্যায়ে প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণে ব্যয়৬৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা। প্রশিক্ষণে ২৬ ব্যাচে ৬৫০ জন প্রশিক্ষণ গ্রহণ করবেন। ইভিএমের বাইরে মাঠ পর্যায়ের ভোট গ্রহণের জন্য প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণে ব্যয় হবে ৬০ লাখ ৮৪ হাজার টাকা। এ ক্ষেত্রেও দুদিনের প্রশিক্ষণে ২৬ ব্যাচে ৬৫০ জন কর্মকর্তা প্রশিক্ষণ নেবেন। ৬৪ জন রিটার্নিং কর্মকর্তার প্রশিক্ষণে ব্যয় দেখানো হয় ৯ লাখ ৩২ হাজার টাকা। ৪৯১ জন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার পেছনে ব্যয় ৫৭ লাখ ৫৪ হাজার টাকা। নির্বাচন ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি সম্পর্কে প্রশিক্ষণ ১ হাজার ২০৬ জন কর্মকর্তার জন্য ব্যয় ৫৭ লাখ ৯১ হাজার টাকা। ৬ লাখ ৮৩ হাজার ১৬ জন ভোট গ্রহণ কর্মকর্তার এক দিনের প্রশিক্ষণের জন্য ব্যয় ৪৬ কোটি ৫৯ লাখ ৮৪ হাজার ১০০ টাকা। ২২ হাজার ১৪০ জন পোলিং কর্মকর্তার প্রশিক্ষণের জন্য ব্যয় ২ কোটি ৬৮ লাখ ৫৭ হাজার টাকা। ১ লাখ ৫৫ হাজার ১৯ জন ভোট গ্রহণ কর্মকর্তাকে ইভিএম বিষয়ে প্রশিক্ষণ জন্য ব্যয় ২৬ কোটি ৩৯ লাখ ৬১ হাজার ৯০০ টাকা। এ ছাড়া ৬ হাজার ৫৯২ কেন্দ্রে ইভিএমের মকভোটিংয়ের জন্য ব্যয় ১০ কোটি ৩৭ লাখ ২৯ হাজার টাকা।২০২৪ সালে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের ইতিহাসে এবারই প্রথম প্রিজাইডিং-পোলিং অফিসারসহ নির্বাচনের কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তাদের দু’দিনের সম্মানী ভাতা দেয়া হয়েছে। এর ফলে আগের নির্বাচনের তুলনায় এবারে ব্যয় হচ্ছে দ্বিগুণেরও বেশী অর্থ। প্রাথমিকভাবে নির্বাচনের জন্য দেড় হাজার কোটি টাকা খরচের কথা বলা হলেও শেষ পর্যন্ত এই নির্বাচনের ব্যয় দু হাজার কোটি টাকা ব্যয় দেখা হয়েছে। এসব টাকার বেশি ছাড় করেছে, যা নির্বাচন কমিশন জেলা প্রশাসকদের অনুকূলে বরাদ্দ দিয়েছে বলা হয়েছে।
ডামি নির্বাচনের আয়োজনের দায়িত্ব পালন করা বর্তমান প্রধান নির্বাচন কমিশনারকাজী হাবিবুল আউয়াল, নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো.আহসান হাবিব খান (অবঃ),নির্বাচন কমিশনার বেগম রাশেদা সুলতানা, নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর এবং নির্বাচন কমিশনার মো,আনিছুর রহমানও নির্বাচন কমিশনের সাবেক সচিব জাহাঙ্গীর আলম।গত ২০১২ সালে সাবেক প্রেসিডেন্ট জিল্লুর রহমান নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য অনুসন্ধান কমিটি নামে একটি মধ্যস্থ ফোরাম তৈরি করেন। ২০১৭ সালে সাবেক প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ একই পদ্ধতি অনুসরণ করে কে এম নুরুল হুদার নেতৃত্বে ৫ সদস্যের একটি নির্বাচন কমিশন গঠন করেন। ২০২২ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি আব্দুল হামিদের গঠিত কে এম নুরুল হুদার নেতৃত্বাধীন কমিশনের মেয়াদ শেষ হয়। তার পূর্বে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের লক্ষ্যে প্রেসিডেন্ট আব্দুল হামিদ ২০২১ সালের ২০ ডিসেম্বর থেকে ২০২২ সালের ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সাথে সংলাপের আয়োজন করেন। তিনি ৩৯টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের মধ্যে ৩২টিকে এ সংলাপে আমন্ত্রণ জানান। সংলাপ শুরু হয় জাতীয় পার্টির অংশ গ্রহণে, এবং শেষ হয় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মাধ্যমে।[৩] বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সহ ৭টি রাজনৈতিক দল এই সংলাপ বর্জন করে। সংলাপে অংশগ্রহণকারী বেশিরভাগ দল নির্বাচন কমিশন গঠনে আইন প্রণয়নের পক্ষে প্রস্তাব দেয়। ১৯৭২ সালে গৃহীত গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ১১৮ (১) অনুচ্ছেদে আইনের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠনের নির্দেশনা থাকলেও ৫০ বছরেও তা হয়নি।২০২২ সালের ১৭ জানুয়ারি মন্ত্রিসভা নির্বাচন কমিশন সংক্রান্ত একটি খসড়া আইনের অনুমোদন দেয়। খসড়া আইনে অনুসন্ধান কমিটির মাধ্যমে বাছাই করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের প্রস্তাব করা হয়েছে।
গত২২ সালের ১৭ জানুয়ারি মন্ত্রিসভা কর্তৃক খসড়া অনুমোদনের পর ২৩ জানুয়ারি সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সংসদে বিলটি উপস্থাপন করেন। পরে যা আইন, বিচার ও সংসদ সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানা হয়। স্থায়ী কমিটির যাচাই-বাছাইয়ের পর ২৭ জানুয়ারি বিলটি পাসের জন্য উত্থাপিত হয় এবং এই বিলের ওপর বিরোধী দলের সদস্যদের দেওয়া জনমত যাচাই-বাছাই ও সংশোধনী প্রস্তাবগুলো নিষ্পত্তি করে কন্ঠ ভোটে বিলটি পাস হয়। আইনটি পাসের আগে বিভিন্ন পর্যায়ে মোট ১২ জন সাংসদ বিতর্কে অংশ নেন। এই আইন প্রণয়নের জন্য আনা বিলে দুইটি সংশোধনী প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়। অনুসন্ধান কমিটিতে প্রেসিডেন্ট মনোনীত দুই বিশিষ্ট নাগরিকের মধ্যে একজন নারী রাখার বিধান যুক্ত করা হয়। এছাড়া অনুসন্ধান কমিটির কার্য দিবস ১০ থেকে বাড়িয়ে ১৫ দিন করা হয়। বিলটি পাস হওয়ার আগে বিলটি জনমত যাচাই-বাছাই কমিটিতে পাঠানো এবং জাতীয় পার্টি, বিএনপি, জাসদ ও ওয়ার্কার্স পার্টির সংসদ সদস্যরা বিলের ওপর বেশ কিছু সংশোধনী প্রস্তাব দেন যেগুলো কন্ঠ ভোটে নাকচ হয়ে যায়।
প্রেসিডেন্টের সম্মতিলাভের পর ২৯ জানুয়ারি বাংলাদেশ গেজেটে প্রকাশিত হয়।পরে প্রেসিডেন্ট ৫ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন কমিশন গঠনে ৬ সদস্যের একটি অনুসন্ধান কমিটি গঠন করেন। ২৬ ফেব্রুয়ারি অনুসন্ধান কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে হাবিবুল আউয়াল কমিশন গঠিত হয়। শাহদীন মালিক বলেন, এই আইনে সরকারের অনুগত নির্বাচন কমিশনই গঠিত হবে। প্রধানমন্ত্রী যেভাবে চাইবেন সেভাবেই হবে। সাবেক নির্বাচন কমিশনার এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, “এখানে সরকার ছাড়া অন্যান্য রাজনৈতিক দলের ভূমিকার কোনো সুযোগই রাখা হয়নি। সুশাসনের জন্য নাগরিকের সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারের মতে এই আইনে সরকারের সুবিধাভোগীরা, অনুগতরা ঠাঁই পাবে।
জানা গেছে, ২০১২ থেকে ২০১৭কাজী রকিবুদ্দিন আহমদ দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দায়িত্ব পালন করেছেন। গত ২০১৭ থেকে ২০২২ সাবেক প্রধান নিবার্চন কমিশন কে এম নুরুল হুদা একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় দায়িত্ব পালন করেছেন। তার সময় দিনের ভোট রাতে নেয়া হয়েছে। যার সারা বিশ্বে রেকর্ড রয়েছে। গত ২০২২ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি থেকে বর্তমান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন।