চিঠিপত্রের যুগ শেষ হওয়ায় দুর্দশাগ্রস্ত ডাক-সার্ভিসকে একটি ভালো অবস্থানে নিয়ে যাওয়া অনেক বড় চ্যালেঞ্জ ছিল বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। তিনি বলেন, ‘ইতোমধ্যে সেটি অনেকটা পেরেছি। ডাকঘরকে স্মার্ট বাংলাদেশ যুগের উপযোগী করে গড়ে তুলতে সার্বিক ডাকব্যবস্থা ডিজিটাইজ করার কাজ চলছে। মেইলিং ব্যবস্থা উন্নয়নের মাধ্যমে ইতোমধ্যে হিমায়িত ও রান্না করা খাবারও পৌঁছে দিচ্ছে ডাকঘর। ডাকঘর ডিজিটাল কমার্সের জন্য একটি নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। ডাকঘরকে একটা নির্ভরযোগ্য সেবা প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে সরকার বদ্ধপরিকর। সোমবার (৯ অক্টোবর) ঢাকায় জিপিও মিলনায়তনে ‘বিশ্ব ডাক দিবস-২০২৩’ উপলক্ষে ডাক অধিদফতর আয়োজিত আলোচনা সভা এবং পত্রলিখন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন। ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ডাক অধিদফতরের মহাপরিচালক তরুণ কান্তি সিকদার এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব জিনাত আরা বক্তৃতা করেন। এসময় মন্ত্রী বলেন, ডাকঘরকে স্মার্ট বাংলাদেশ যুগের উপযোগী করে গড়ে তুলতে ডিজিটাল সার্ভিস ডিজাইন ল্যাবের (ডিএসডিএল) প্রস্তাবের আলোকে স্মার্ট ডাকঘর প্রতিষ্ঠায় পরিচালিত সমীক্ষার চূড়ান্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে ডাক সেবায় ডাকঘরের সমকক্ষ কোনও প্রতিষ্ঠান খুঁজে পাওয়া কঠিন হবে। রানারের যুগ শেষ হয়ে গেলেও চিঠির ঐতিহ্য মানুষ আজও মনে রাখে উল্লেখ করে ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব বলেন, ‘ডাকঘরকে ইতিহাস-ঐতিহ্যে সমৃদ্ধ প্রতিষ্ঠান। প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার জন্য কর্ম পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়নের বিকল্প নেই।’ তিনি ডাক সেবার মানোন্নয়নে সপ্তাহে সাত দিন ২৪ ঘণ্টা সেবার পাশাপাশি গ্রাহকের আস্থা অর্জনে নিরলসভাবে কাজ করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, ‘শ্রীলংকা, ভুটান ও অস্ট্রেলিয়ার ডাকব্যবস্থা অত্যন্ত ভালো পর্যায়ে থাকলে আমরা কেন পারবো না?’ তিনি ডাক সেবার উন্নয়নে সম্ভাব্য সবধরনের সহযোগিতা প্রদানের আশ্বাস দেন। ডাক অধিদফতরের মহাপরিচালক ডাক সেবা যাত্রার ইতিহাস তুলে ধরে বলেন, ‘কালের বিবর্তনে চিঠির প্রয়োজন শেষ হলেও ডাকের প্রয়োজন রয়েছে।’ পরে মন্ত্রী বিশ্ব ডাক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত পত্রলিখন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন।