ঢাকারবিবার , ১৯ ডিসেম্বর ২০২১
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. কৃষি ও অন্যান্য
  5. খেলাধুলা
  6. গল্প ও কবিতা
  7. জাতীয়
  8. তথ্যপ্রযুক্তি
  9. দেশজুড়ে
  10. ধর্ম ও জীবন
  11. প্রবাস
  12. বানিজ্য
  13. বিনোদন
  14. বিশেষ প্রতিবেদন
  15. মুক্তমত
আজকের সর্বশেষ সবখবর

বাংলাদেশের অবিস্মরণীয় অর্জন তথ্যপ্রযুক্তি খাতে

তালুকদার রুমী
ডিসেম্বর ১৯, ২০২১ ১২:২৪ অপরাহ্ণ
Link Copied!

তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বাংলাদেশ এক অবিস্মরণীয় লক্ষ্য অর্জনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। অতি স্বল্প সময়ের মধ্যেই দেশের মানুষ এর সুফল ভোগ করতে শুরু করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার লক্ষ্যই ছিল বাংলাদেশের প্রতিটি সেক্টরকে ডিজিটালাইজেশনে রূপান্তরিত করা। আর এ লক্ষ্য অর্জনে সরকার ইতোমধ্যে ব্যাপক সাফল্য দেখিয়েছে। বাংলাদেশ দ্রুতগতিতে তথ্য প্রযুক্তিখাতে সফলতা অর্জন করায় বিশ্ব এখন হাতের মুঠোয়। বাংলাদেশের সন্ত্রাস দমনের ক্ষেত্রে তথ্য প্রযুক্তিখাত একটি মাইলফলক হিসেবে কাজ করছে। দেশের সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে ইজিপি (ই-গভর্নমেন্ট) চালু হওয়ার ফলে এখন টেন্ডার সন্ত্রাস নেই বললেই চলে। এতে হানাহানি, মারামারি এবং খুন খারাপির মতো গুরুতর অপরাধ শূন্যের কোঠায় নেমে এসেছে। প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ এর অক্লান্ত পরিশ্রম এবং নতুন নতুন উদ্ভাবনী শক্তি আইসিটি খাতে এনেছে এক বিস্ময়কর সাফল্য। দক্ষ মানব সম্পদ তৈরি, ই-গভর্নমেন্ট, ইন্ডাস্ট্রি প্রমোশন এবং কানেক্টিং বাংলাদেশ তথ্য প্রযুক্তি খাতে ব্যাপক সুফল ভোগ করছে। অর্থাৎ উপকৃত হচ্ছে দেশের নারী পুরুষ সকলেই। গত ১২ ডিসেম্বর দেশে পালিত হয়েছে ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস। ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবসে সজীব ওয়াজেদ বলেন, ‘অনুকরণ নয় উদ্ভাবন, ডিজিটাল বাংলাদেশের দর্শন। আমরা এমন বাংলাদেশ গড়তে চাই যেখানে প্রতিটি মানুষ তথ্য প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন হবে, উদ্ভাবন আর গবেষণায় ভর করে বাংলাদেশ চতুর্থ শিল্পবিপ্লবে নেতৃত্ব দেবে।’ অপরদিকে বিপুল সংখ্যক তরুণ সমাজের জন্য একটি তথ্য প্রযুক্তি নির্ভর আধুনিক ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের স্বপ্ন দেখছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী বলছেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ হচ্ছে ফিলোসফি অব রেভ্যুলেশন।’ তিনি আরো বলেন, ‘তথ্যপ্রযুক্তি খাতকে কাজে লাগিয়ে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি এনে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে সরকার। এর ফলে ২০৪১ সাল নাগাদ আমরা একটি উন্নত বাংলাদেশে পৌঁছে যাবো।’ তথ্য প্রযুক্তির বৈপ্লবিক পরিবর্তনের ফলে এখন দেশের মানুষ আধুনিক বিশ্বের সঙ্গে ব্যাপকভাবে পরিচিতি লাভ করেছে। তথ্যপ্রযুক্তির ব্যাপক সম্প্রসারণের ফলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমও বেশ শক্তিশালী। শহর এবং গ্রামের বৈষম্য অনেকটাই দূরীভূত হয়েছে। সরকার ২০০৮ সাল থেকে ২০২১ সালের ডিসেম্বর নাগাদ ২ হাজার ডিজিটাল সেবা প্রদান করেছে। জাতীয় তথ্য বাতায়নে সংযুক্ত সরকারি অফিসে ৫২ হাজার ওয়েব সাইট নির্মাণ এবং ৮ হাজার ২৮০টি ডিজিটাল সেন্টার প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হয়েছে।
এ ছাড়া ২০ লাখ দক্ষ মানবসম্পদ তৈরিতে এক অনন্য ইতিহাস সৃষ্টি করেছে সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ । বাংলাদেশে বর্তমানে ইন্টারনেট ব্যবহারের সংখ্যা ১৩ কোটি। ব্রডব্যান্ড/অপটিক্যাল ফাইবার সংযোগ প্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান ১৮ হাজার ৫শ’টি। এ খাতে সুবিধাভোগী দেশের ৩ হাজার ৮শ’টি ইউনিয়ন। এ ছাড়া দেশে ব্রডব্যান্ড/অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল স্থাপন হয়েছে ২৮ হাজার কিলোমিটার।
ওয়াইফাই’র মাধ্যমে ইউনিয়ন পর্যায়ে সংযুক্ত অফিসের সংখ্যা ৪ হাজার ৫শ ৫৪টি ও ইউনিয়ন পর্যায়ে ওয়াইফাই সংযোগ ২৬ হাজার এবং দেশে মোবাইল ফোন সংযোগের সংখ্যা ১৮ কোটির ওপরে। এদিকে ২০২৫ সালের মধ্যে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে আরও ব্যাপক সাফল্য অর্জনের লক্ষ্যে নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে সরকার। এ সময়ের মধ্যে আইসিটি রপ্তানি ৫ বিলিয়ন ডলারে উন্নীতকরণ, তথ্যপ্রযুক্তি খাতে কর্মসংস্থান ৩০ লাখে উন্নীতকরণ, অনলাইনে সরকারী সেবা শতভাগ নিশ্চিত করা এবং আরও ১ লক্ষ ৯ হাজার ওয়াইফাই সংযোগ, ভিলেজ ডিজিটাল সেন্টার প্রতিষ্ঠা এবং আরও ৩শ স্কুল অব ফিউচার প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা রয়েছে ডিজিটাল সরকারের। এ ছাড়াও ডিজিটাল লিডারশীপ একাডেমী প্রতিষ্ঠা, ক্যাশলেস সোসাইটি গড়ে তোলা, আর্থিক খাতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতে ইন্টারঅপারেবল ডিজিটাল ট্রানজেকশন প্ল্যাটফর্ম চালুকরণ এবং আরত্ত ২৫ হাজার শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য নিয়ে ব্যাপক কার্যক্রম শুরু করেছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ। ২০২৫ সালের কর্ম পরিকল্পনায় ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজিতে দক্ষ মানবসম্পদ উন্নয়নে শেখ হাসিনা ইনস্টিটিউট অব ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি স্থাপনও তথ্য প্রযুক্তি খাতকে করবে আরও সমৃদ্ধ।